সুন্দর চুলের গোড়ার কথা ছবি: সংগৃহীত
এন্তার খরচ করছেন চুলের পরিচর্যায় তবুও ফিরছে না চুলের স্বাস্থ্য? কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে মাথার ত্বকে। চুলের পুষ্টি আসে থাকে মাথার ত্বক বা ‘স্ক্যাল্প’ থেকেই। তাই গোড়া ঠিক না থাকলে হাজার চেষ্টাতেও ভাল হবে না চুল। কী ভাবে ভাল থাকবে মাথার ত্বক?
১। মৃদু প্রসাধনী
মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে এমন প্রসাধনী এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে যে যে প্রসাধন সামগ্রীতে সালফেট, অ্যালকোহল বা অতিরিক্ত সুগন্ধি থাকে, সেগুলি মাথার ত্বকের স্বাভাবিক তৈলগ্রন্থিগুলির ক্ষরণ ব্যাহত করতে পারে। ফলে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে চুলকানি।
২। শ্যাম্পু করার সময় সাবধান
যখন শ্যাম্পু করবেন তখন মাথার ত্বক জোরে নখ দিয়ে ঘষবেন না। বদলে আঙুলের আগা দিয়ে আলতো মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, ত্বকেরও কোনও ক্ষতি হবে না।
৩। মাথা ধোয়া
অনেকেই ভাবেন যত বার মাথা ধোয়া যায় ততই বোধহয় ভাল। কিন্তু যাঁদের মাথা এমনিই শুষ্ক তাঁদের ঘন ঘন মাথা ধোয়া অনুচিত। এতে মাথার ত্বকে জমে থাকা তেলের পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। নষ্ট হয় আর্দ্রতা।
প্রতীকী ছবি।
৪। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে জারণঘটিত চাপের পরিমাণ কমায়। শরীরে জারণঘটিত চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ, ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। শুধু চুলের ক্ষতিই নয়, এই চাপ বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস কিংবা হার্টের সমস্যাও। তাই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে ভাল থাকে মাথার ত্বকও।
৫। মালিশ
নিয়মিত মালিশ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। আর রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির সরবরাহ ভাল হয়। ফলে সুস্থ থাকে চুলও। মাথা মালিশ করার এক ধরনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়, ব্যবহার করতে পারেন সেগুলিও।