পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে অল্প বয়সেই চলে আসছে বলিরেখা। ছবি: সংগৃহীত
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে ক্রমশ। শীত, বসন্ত পেরিয়ে বাতাসে গ্রীষ্মের ছোঁয়া। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়ে ত্বকেও। বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা, তাপের ফলে নিস্তেজ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক। সূর্যের ক্ষতিকারক অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। তা ছাড়া বাড়ি থেকে কাজের পালাও শেষ। অফিসের বদ্ধ ঘরে সারা ক্ষণ এসি চলে। সকাল থেকে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা এই পরিবেশে কাটাতে হয়। ফলে ওই ঘরের আর্দ্রতার অভাব ত্বকেরও ক্ষতি করছে। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে অল্প বয়সেই চলে আসছে বলিরেখা। অনেক সময় ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা দিয়েছে তা প্রথমে বোঝা যায় না। ফলে পরিচর্যা করতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়।
ত্বক যে আর্দ্রতা হারাতে বসেছে কোন লক্ষণগুলি দেখে তা বুঝবেন?
১) ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, ব্রণ হওয়া।
২) ত্বক অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর হয়ে যাওয়া। ত্বকে লালচে ভাব, মেচেতার উপদ্রব।
অনেক সময় ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা দিয়েছে তা প্রথমে বোঝা যায় না। ছবি: সংগৃহীত
৩) বলিরেখা, চোখের তলায় কালি পড়ে যাওয়া।
৪) ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পাওয়া। ত্বক ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়া।
৫) আর্দ্রতাহীন ত্বক অতি মাত্রায় শুষ্ক হয়ে পড়া। শুষ্ক ত্বকে নানা রকম কালচে দাগ ছোপের আবির্ভাব।
ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে পেতে কী করণীয়?
১) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সর্বোত্তম উপায় হল পরিমাণ মতো জল খাওয়া। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি দিন অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি।
২) মাত্রা তিরিক্ত হারে কফি না খাওয়াই ভাল। কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন। আর্দ্রতা হ্রাস করে ত্বকের শুষ্ক করে তোলে ক্যাফিন। অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাসও ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
৩) নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে গরমকালে ত্বকের পরিচর্যায় বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাজারের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেওয়াই ভাল। বেশি স্ক্রাবিং না করাই ভাল। এতে ত্বক আরও বেশি করে রুক্ষ হয়ে পড়ে।