‘চিপকু’ চুলের সমস্যায় জেরবার? ছবি- সংগৃহীত
শীতকাল পড়ল মানেই স্নান, শ্যাম্পুর দফারফা। কিন্তু ঠান্ডার ভয়ে স্নান না করলেও, শ্যাম্পু না করে উপায় নেই। নিমন্ত্রণ বা পার্টিতে শ্যাম্পু না করে একেবারে তেল চুপচুপে, পাটি পাতা চুল নিয়ে তো যাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে সালোঁয় গিয়ে বা কেশচর্চা শিল্পীদের হাতে রাসায়নিক দিয়ে চুল ফুলিয়ে না রেখে উপায় নেই। মাথায় চুলই যদি না থাকে কোনও কায়দাই ভাল লাগবে না। তা ছাড়া, ওই সব প্রসাধনীর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। তা হলে উপায়?
বাড়িতেই সহজ কিছু টোটকা ব্যবহার করে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে কী কী ব্যবহার করবেন?
১) জবা ফুল
চুলের যত্নে বহু আগে থেকেই মা-দিদিমারা জবা ফুলের উপর ভরসা করতেন। আয়রন, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থায়ামিন, নিয়াসিন এবং ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ জবাফুল চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল গরম করে তার সঙ্গে জবা ফুল বেটে মিশিয়ে নিন। তেল ফুটে রং বদলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হলে কাচের বোতলে ভরে রেখে দিন।
২) আলুর রস
অনেকেই চোখের তলার কালি দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করেন। এই আলুর রসই চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। স্নানের আগে আলুর রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা রাখুন। পরে মাইল্ড শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩) মেথি দানা
মেথি ভেজানো জল খাওয়া পেটের জন্য ভাল। ওই ভিজিয়ে রাখা মেথিই বেটে গরম নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। স্নানের আগে এক ঘণ্টা মেখে রেখে দিন। এক মাস টানা এই ভাবে চুলে তেল মালিশ করতে পারলে ঘনত্ব হবে ঈর্ষণীয়।
৪) পেঁয়াজের রস
শুধু চুলের ঘনত্ব বাড়ানো নয় চুল পড়া, খুসকি-সহ চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে পেঁয়াজ। অনেকেই অবশ্য পেঁয়াজের উগ্র গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু যদি পারেন, সে ক্ষেত্রে লাভ আপনারই। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সালফার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
৫) ডিম
চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং মজবুত করতে ডিমের জুরি মেলা ভার। প্রোটিন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, আয়রন, সালফার এবং আয়োডিনে ভরপুর ডিম চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে মেখে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের আঁশটে গন্ধ দূর করতে গেলে শ্যাম্পুর পর এক মগ জলে ভিনিগার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।