Wi-Fi

ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী ওয়াই-ফাই, আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কেমন প্রভাব ফেলে?

অফিসের মিটিং থেকে রাত জেগে সিনেমা দেখা, সবেতেই ওয়াই-ফাই নির্ভর। এই বস্তুটি আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলছে, তা কি জানেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২২
Share:

রাতে ঘুমোনোর সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ করে দিন। ছবি- সংগৃহীত

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জীবনকে অনেক বেশি সহজ আর গতিময় করে তুলেছে। এক ক্লিকেই ঘরে বসে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের খবর হাতের মুঠোয় চলে আসা ছাড়াও কোনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমও এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।

Advertisement

তবে, সব জিনিসেরই ভাল এবং খারাপ— দু'টি দিকই থাকে। ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বা ওয়াই-ফাইও তার ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘ ক্ষণ এই ওয়াই-ফাইয়ের সাহচর্যে থাকার খারাপ প্রভাব পড়ে মানবশরীরে। ইন্টারনেটের গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতাও বেড়েছে। আগে মানুষ প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ক্যাফেতে গিয়ে বেশ খানিকটা অর্থব্যয় করে ইন্টারনেট পরিষেবা নিতে পারত। কিন্তু এখন সেই খরচও খুবই সামান্য হয়ে গিয়েছে। মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে।

Advertisement

ওয়াই-ফাইয়ের প্রভাবে শরীরে কী কী ক্ষতি হয়?

১) চোখের উপর প্রভাব

নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা পেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের সময়জ্ঞান থাকে না বললেই চলে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চোখের। ফোন বা ল্যাপটপের রশ্মি চোখে জ্বালা, চোখ থেকে জল পড়া এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।

২) ঘুমে ব্যাঘাত

গতি অনেকের জীবনেই নেশার মতো। উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা আঠার মতো মানুষকে আটকে রাখে। একের পর এক সিনেমা, সিরিজ় শেষ করতে গিয়ে ঘুম নষ্ট হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই অভ্যাস চলতে থাকলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

৩) বিরক্তি ভাব

ঘুম কম হলে যে কোনও মানুষেরই মেজাজ বিগড়ে থাকতে পারে। তখন সাধারণ কথাও শুনতে ভাল লাগে না। রাতে না ঘুমোনো, তার উপর ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, সব মিলিয়ে বিরক্তির ভাব থাকা অস্বাভাবিক নয়।

৪) অ্যালঝাইমার্স

ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের স্মৃতির ঘরেও দখল নেয়। স্মরণশক্তি লোপ পেতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জালের উপর এই নির্ভরশীলতা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও নষ্ট করে।

৫) স্থূলতা

কাজ থেকে বাড়ি ফিরে রাতে এবং ছুটি থাকলে সারা দিন বাড়িতে ইন্টারনেট যদি কারও সঙ্গী হয়, সে ক্ষেত্রে শারীরিক কসরতের সময় কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ডায়েট করেও তখন স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

এর থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন?

১) রাতে ঘুমোনোর সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ করে দিন।

২) একান্তই যদি প্রয়োজন হয়, ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করুন।

৩) শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement