সানস্ক্রিন কেনার আগেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
শীত হোক বা গ্রীষ্ম— চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন যে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন সব ঋতুতেই। এমনকি, মেঘলা দিনেও বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দেন তাঁরা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ত্বক ভাল রাখতে, শরীরের খোলা অংশের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন লোশন অপরিহার্য। সানস্ক্রিন মাখার যেমন বেশ কিছু নিয়ম আছে তেমনই সানস্ক্রিন কেনার আগেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বাছুন
সানস্ক্রিন বলে নয়, যে কোনও প্রসাধনীই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, স্পর্শকাতর, শুষ্ক— বিভিন্ন জনের ত্বক বিভিন্ন ধরনের। শুষ্ক ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছা প্রয়োজন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আবার প্রয়োজন জেল জাতীয় কোনও সানস্ক্রিন।
সানস্ক্রিন উপাদানের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিন
যেসব সানস্ক্রিনে উপাদানের তালিকায় জিঙ্ক অক্সাইডের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে সেই সানস্ক্রিনগুলি ত্বকের জন্য বেশি সুরক্ষিত। এই খনিজ উপাদান সূর্যরশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা প্রদান করে।
অন্তত সর্বনিম্ন ৩০ এসপিএফ-র সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
জল শোষিত সানস্ক্রিন বাছুন
সানস্ক্রিন যে শুধু গরমকালে ব্যবহার করার জন্য নয়। সারা বছর সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। এমনকি বর্ষাকালেও। বর্ষাকালে বৃষ্টির জল লেগে বা গরম কালে ঘেমে যাওয়ার ফলে সানস্ক্রিন ত্বক থেকে উঠে গেলে সূর্যের আলো প্রভাব বিস্তার করতে পারে ত্বকে। তাই সানস্ক্রিন কেনার সময়ে জল শোষন করতে পারে এই রকম সানস্ক্রিন বাছুন।
সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে এসপিএফের মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সূর্যের আলো থেকে ত্বক কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করছে এসপিএফ-র মানের উপর। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে সব সময় বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। অন্তত সর্বনিম্ন ৩০ এসপিএফ-র সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রূপটানেও যেন ব্যবহার করা যায়
বর্তমানে ‘ক্লিন বিউটি’ একটি জনপ্রিয় রূপটান পদ্ধতি। তবে ফাউন্ডেশন বা বিবি ক্রিমের বদলে রূপটানের ক্ষেত্রে প্রথমে সানস্ক্রিন মেখে নেওয়া যেতে পারে। সানস্ক্রিন কেনার আগে তাই দেখে নেওয়া প্রয়োজন যে, এটি ফাউন্ডেশন বা বিবি ক্রিমের বিকল্প হিসাবে কাজ করতে সক্ষম কিনা।