পুরনো জিন্স কেটে, জুড়ে তৈরি করা যেতে পারে বাহারি নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস। ছবি: সংগৃহীত
নতুন পোশাকের ভিড়ে আলমারিতে থাকা পুরনো পোশাকগুলি চাপা পড়ে যায়। কাজে বেরোনোর সময়ে তাড়াহুড়োতে নতুন পোশাকগুলিই পরে ফেলেন অনেকে। বেশ কিছু দিন পর গিয়ে আলমারি ঘেঁটে সে সব পোশাক বার করতে গিয়ে দেখা যায়, হয় ট্রাউজার্সের ইলাস্টিক ঢিলে হয়ে গিয়েছে, নয়তো জামা গায়ে ছোট হয়ে গিয়েছে। সে সব পোশাক তখন ফেলে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও কাজে লাগানো যায় না। অনেকে আবার সেই সব কম ব্যবহৃত প্রায় নতুন পোশাক সারা বছর ধরে জমিয়ে রেখে দেন কাউকে দেওয়ার জন্য। তবে একটু বুদ্ধি করে পুরনো পোশাক দিয়ে এমন কিছু পোশাক বানিয়ে ফেলা যায়, যা দেখতে হবে একেবারে নতুনের মতো।
কোন পোশাক দিয়ে কী কী বানাতে পারেন?
১) জিন্স থেকে শর্ট্স
অনেক দিন ধরে একই রকম জিন্স পরতে ভাল না লাগলে বা পরতে পরতে জিন্সের তলার দিকটা নষ্ট হলে গেলে, ডেনিম ট্রাউজার্স কেটে শর্ট্স বানিয়ে ফেলতে পারেন। কোথাও ঘুরতে গেলে এই শর্ট্সের উপর পছন্দের টি-শার্ট বা ক্রপ টপ পরলে মন্দ লাগবে না। অনেকে আবার পুরনো জিন্স দিয়ে ব্যাগ, ডায়েরির কভারও তৈরি করেন।
২) পুরনো শাড়ি দিয়ে কুর্তি
মায়ের পুরনো শাড়ি ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন কুর্তি বা ক্রপ টপ। চাইলে দু’টি বা তার বেশি সংখ্যক শাড়ি দিয়ে রংমিলান্তিও করতে পারেন। অনেকে অবশ্য কাপড়ের গয়নাও তৈরি করেন।
৩) শার্ট থেকে ক্রপ টপ
একটা সময়ে দেহের মাপের চেয়ে বড় ‘ওভারসাইজ্ড’ শার্ট পরার চল ছিল। কিন্তু এখন সেগুলি পরতে কেমন যেন অস্বস্তি হয়। অথচ সেগুলি খুব বেশি পরাও হয়নি। সেই শার্টগুলি ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্রপ টপ।
পুরনো জিন্স ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন সুন্দর ব্যাগ। ছবি: সংগৃহীত
৪) পুরনো শাড়ি থেকে স্কার্ট
মা, দিদিমার পুরনো জরির পাড় দেওয়া সিল্কের শাড়ি প্রাণে ধরে কাউকে দিতে পারেন না। আবার পরতেও পারেন না। কারণ সেগুলি বড্ড বেশি পুরনো ডিজাইনের। তবে কায়দা করে যদি ওই সব শাড়ি দিয়ে সন্দুর স্কার্ট তৈরি করে ফেলা যায়, দেখতে ভালই লাগবে।
৫) পুরনো শাড়ি দিয়ে প্যাচওয়ার্ক
অনেক রকম শাড়ি কেটে জুড়ে ‘প্যাচ’ তৈরি করে রাখেন অনেকেই। মেয়েদের টপ হোক বা ছেলেদের পাঞ্জাবি— যে কোনও পোশাক তৈরি করার সময়ে সেই সব ‘প্যাচ’ ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন ভাবে।