তেলে ‘ত্বক’ তাজা। ছবি- সংগৃহীত
শীতকালে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারে এসেনশিয়াল অয়েল। শুধু ত্বকই নয়, প্রতি দিনের কাজের চাপ, স্ট্রেস, মন ভাল রাখার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই তেলগুলির। ত্বকের দাগছোপ, ব্রণ, ক্ষতের দাগ, সানবার্ন ইত্যাদি দূর করতেও সাহায্য করে এসেনশিয়াল অয়েল। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে তাই ভরসা রাখতে হবে বিশেষ এই তেলগুলির উপর।
শীতে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন তেল মালিশ করবেন?
১) রোজ এবং জেরেনিয়াম অয়েল
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। ঘুম জড়ানো শীতের সকালে গোলাপ এবং জেরেনিয়াম তেলের মালিশ আপনাকে দিতে পারে সতেজতায় মোড়া একটি সকাল। শীতকালে এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই শুষ্কতা অনেক সময় শরীরে জলের ঘাটতির জন্যও হতে পারে। তেলের পাশাপাশি তাই জল খাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
২) চন্দন এবং ভ্যানিলা অয়েল
ত্বকের পাশাপাশি মনের যত্নেও চন্দন এবং ভ্যানিলা অয়েলের ভূমিকা রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগে ভরপুর এই তেল ত্বকের গভীরে গিয়ে ক্ষত নিরাময় করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই তেল বেশ উপকারী।
রোজ় এবং জেরেনিয়াম অয়েল। ছবি- সংগৃহীত
৩) কাঠবাদামের তেল
কাঠবাদামের তেল সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ত্বক এবং চুল, দুইয়েরই পুষ্টি জোগাতে কাঠবাদামের তেল বিশেষ ভাবে উপকারী। রোদে পোড়া ত্বক এবং চামড়ায় মেদের দাগ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে কাঠবাদাম।
৪) গোলমরিচ এবং দারচিনির তেল
বাতাসে থাকা ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ বয়সের আগেই চামড়ার জৌলুস নষ্ট করে। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে শীত পড়ার আগে থেকেই ব্যবহার করতে শুরু করুন গোলমরিচ এবং দারচিনি মিশ্রিত তেল।
৫) জিঞ্জার এবং বার্গামট অয়েল
বয়সজনিত বা শারীরিক কারণে অনেকেরই ত্বক অবাঞ্ছিত দাগে ভরে ওঠে। মেক আপ ছাড়া, দাগ ঢাকা দেওয়ার কোনও উপায় থাকে না। তবে এই দাগগুলি হালকা করতে কাজে লাগতে পারে এই তেল। এ ছাড়াও জিম বা শরীরচর্চার ফলে দেহের পেশিতে যে ব্যথা হয়, তা অনেকটাই নির্মূল করে জিঞ্জার এবং বার্গামট অয়েল।