ত্বক থেকে ছাল ওঠে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখতে ভুল হয় না। কিন্তু বাড়ি ফিরে স্নান সেরে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার কথা অনেক সময়েই মনে থাকে না। ফলে স্নান করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। প্রায় সারা বছরই ত্বক থেকে ছাল উঠছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। শীতকালে বাতাসে আপক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। তাই ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে তো তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়! তা হলে কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
১) বাজারজাত বেশির ভাগ সাবান কিংবা শ্যাম্পুতে ক্ষার থাকে। এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক তেল বা সেবামের স্তর নষ্ট হয়। ফলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের শরীরের নানা জায়গা থেকে ছাল উঠতে শুরু করে।
২) কোন জায়গার জলের মান কেমন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। জলের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ বেশি থাকলে তাকে 'খর জল' বলা হয়। এই জলে স্নান করলে ত্বক এবং চুলে এক ধরনের আস্তরণ পড়ে যায়। সেখান থেকেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
৩) গরমে বেশির ভাগ সময়েই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকছেন। এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হচ্ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘরের ভিতরের বাতাসও শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেকেই অভিযোগ করেন,এসি ঘরে থাকলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে গেলে গা চুলকায় কিংবা র্যাশ বা প্রদাহজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অনেক ক্ষণ ধরে স্নান করলেও ত্বকের নিজস্ব ময়েশ্চার ব্যারিয়ার নষ্ট হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অনেক ক্ষণ ধরে স্নান করলেও ত্বকের নিজস্ব ময়েশ্চার ব্যারিয়ার নষ্ট হয়। গরমকালে অনেকেই বার বার স্নান করেন। সেই কারণেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
৫) আবার, ৪০ বছর বয়সের পর থেকে মানব শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বিভিন্ন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।