কেশরের গুণেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরবে। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন বাড়িতে। তাতে মুখ পরিষ্কার থাকে ঠিকই। কিন্তু, বাড়তি চটক আসে না। জেল্লা ফেরাতে বাজারে নানা ধরনের ক্রিমও কিনতে পাওয়া যায়। তবে এই ক্রিমগুলিতে সাধারণত রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তাতে ত্বকের ক্ষতি হয়। আলাদা করে মুখে জেল্লা আনতে অনেকে আবার সালোঁয় ছোটেন। কিন্তু দীপাবলির আগে যদি সালোঁয় যাওয়ার সময় না হয়, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এক চিমটে কেশরের গুণে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হতে পারে। জেনে নিন, কী ভাবে।
১) কালচে ছোপ দূর করে:
মুখের কালচে ছোপ দূর করতে বাজার থেকে কেনা ক্রিম না মেখে কেশর এবং মধুর প্রলেপ মাখা যেতে পারে। নিয়ম করে, ধৈর্য ধরে মাখলে কালচে ছোপ দূর হবে। ত্বকের জেল্লা ফিরবে।
২) ব্রণের বাড়বাড়ন্ত কমায়:
ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কেশর। মুখে ব্রণের উপদ্রব হলে কেশর দিয়ে বানানো প্যাক মাখা যেতে পারে।
৩) আর্দ্রতা বজায় রাখে:
কেশর গুঁড়ো করে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কাঠবাদাম বা হোহোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন সারা রাত। শুষ্ক ত্বক পেলব করতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই টোটকা।
৪) প্রদাহ নাশ করে:
ঈষদুষ্ণ জলে কেশরের বেশ কয়েকটি পরাগ ভিজিয়ে রাখুন। ওই দ্রবণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে স্প্রে বোতলের মধ্যে ভরে নিন। টোনার হিসাবে এই তরল দারুণ ভাবে কাজ করে।
৫) টান টান ভাব বজায় রাখে:
ত্বকের কোলাজেনের অভাব হলে চামড়া ঝুলে যায়। টান টান ভাবটাও আর থাকে না। কেশরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা টান টান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।