বয়স কুড়ি পেরলে ত্বকের যত্নে ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই বছর কুড়ি পর থেকেই ত্বকের চর্চায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। কৈশোরের পরে ত্বকে একটা আলগা লাবণ্য আসতে শুরু করে। সুন্দর দেখাতে প্রসাধনীর আশ্রয় না নিলেও চলে। তবে ত্বকের ভালমন্দের দিকে খেয়াল রাখতেই হয়। এই সময় ঘন ঘন ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ত্বকের যত্নে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই। তবে বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বকের খেয়াল রাখা ছাড়াও অকৃত্রিম কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি জেনে নেওয়া জরুরি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
ত্বকের যত্ন সব সময় ভিতর থেকে নেওয়া উচিত। ত্বকের খেয়াল রাখতে পারে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এর ফলে ত্বক ভিতর থেকে সতেজ থাকে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে ভিটামিন সি-র গুণে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সিরামও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ দূর হয়ে যাবে।
গ্রিন টি খেতে পারেন
শরীরে জমে থাকা বাড়তি টক্সিন দূর করে বলে ওজন কমাতে অনেকেই চুমুক দেন গ্রিন টিতে। এই চা শুধু শরীর নয়, ত্বকেরও অনেক সমস্যা দূর করে। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বক টান টান রাখে। এর ফলে ত্বকের পেশিগুলি শিথিল হয়ে পড়ে না।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার
সব বয়সেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে বয়সের কোঠা ২০ পেরোলে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে না বেরোনোই ভাল। সানস্ক্রিনে থাকা বিভিন্ন মাত্রার এসপিএফ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করার বিকল্প নেই।
সুষম খাবার খাওয়া
রোজকার খাদ্যতালিকার উপর নির্ভর করে ত্বকের হাল কেমন থাকবে। ত্বকের যত্ন নিতে তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারলে ভাল। তার মানে এই নয় যে, বাইরের মুখরোচক খাবার খাওয়া চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং বাইরের খাবার খাওয়ার মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
জল খেতে হবে বেশি করে
চকচকে ত্বক পেতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। জল শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ শোষণ করে বাইরে বার করে দেয়। শরীর ঝরঝরে থাকলে ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। যে কোনও বয়সে ত্বকের দেখাশোনায় অন্যতম ভরসা হতে পারে জল। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খেতে হবে।