দাগছোপহীন, মসৃণ পিঠ পেতে হলে কী ভাবে যত্ন নেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
অফ শোল্ডার গাউন, অথবা হল্টার ব্লাউজ, পেলব খোলা পিঠ, যেন মাধুর্যের শেষ কথা। তারকাদের মতো মসৃণ, পেলব পিঠ পেতে হলে তার যত্নও করতে হবে সেইভাবেই। শুধু মুখের যত্ন নিলেই হয় না, হাত-পা, পিঠেরও যত্ন নিতে হয়। আর অবশ্যই সবচেয়ে অবহেলিত অংশ, পিঠের। উৎসব-অনুষ্ঠানে, সান্ধ্য পার্টিতে সুন্দর শাড়ি পরুন বা ডিজাইনার লেহঙ্গা, খোলা পিঠের ব্লাউজ সব পোশাককেই আরও সুন্দর করে তোলে। আর পিঠ যদি দাগহীন, সুন্দর না হয় তা হলে কিন্তু সাজটাই ঠিকমতো হবে না। ব্যাকলেস, হল্টার বা ডিপ কাটের পোশাকে নিজেকে মোহময়ী করে তুলতে হলে পিঠের যত্ন কী ভাবে নেবেন, শিখে নিন।
ওয়্যাক্সিং
হাত-পা বা মুখের রোম তোলেন নিশ্চয়ই? পিঠের দিকেও নজর দিন। পিঠের অবাঞ্ছিত রোম শুধুমাত্র সৌন্দর্যই নষ্ট করবে তা নয়, পিঠ দেখতেও অসমৃণ লাগবে। লিকুইড ওয়্যাক্স বা হেয়ার রিমুভ্যাল ক্রিম দিয়ে পিঠ পরিষ্কার রাখতে পারেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বা দু’মাসে একবার ওয়্যাক্সিং করালেই যথেষ্ট।
পিঠের মালিশ
রোজকার ধুলো, ময়লা, তেল জমে পিঠ কালো হয়ে যায়। প্রতি দিন স্নানের সময় লুফা দিয়ে সারা শরীর পরিষ্কার করা সম্ভব হলেও পিঠের পুরোটা পৌঁছনো যায় না। তাই লম্বা হ্যান্ডলযুক্ত ব্রাশের সাহায্যে পিঠ ঘষুন রোজ। এতে মালিশ ও স্ক্রাবিং দুটোই হয়ে যাবে।
স্নান সেরে বেরিয়ে অবশ্যই ময়শ্চারাইজ় করুন। এ ক্ষেত্রে হাত না পৌঁছলে পরিষ্কার, নরম ব্রাশের সাহায্য নিতে পারেন।
কালচে দাগছোপ
রোদে পুড়ে বা পোশাকে সবসময়ে ঢাকা থাকলে পিঠে কালচে দাগছোপ পড়ে যায় অনেক সময়েই। তাই নিয়মিত স্ক্রাবিং জরুরি। ১ কাপ চিনির সঙ্গে ১ চ চামচ লেবুর রস ও ৬ চা চামচ আমন্ড তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। আগে থেকে ময়শ্চারাইজ় করা পিঠে এই স্ক্রাব লাগান। দুধ, মধু বা টক দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়েও স্ক্রাব করতে পারেন। মিনিট পাঁচেক মালিশ করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
পিঠের ব্রণ
পিঠে ব্রণ বা ফুস্কুড়ির সমস্যা থাকলে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ঘুমোনোর আগে ফোঁটা ফোঁটা করে ব্রণের উপর মাখিয়ে রাখতে পারেন। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতেও ব্রণের সমস্যা দূর হতে পারে।