ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্নেরও অভিমুখ ঠিক করতে হবে। প্রতীকী ছবি।
চলে এসেছে শারদোৎসব। চারিদিকে সাজ সাজ রব। পোশাকের পাশাপাশি সাজগোজ নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কোন জামার সঙ্গে কী পরবেন, কতটা সাজবেন, মেক আপই বা কেমন হবে, তা নিয়ে জোরকদমে চলছে আলোচনা। এত কিছুর ফাঁকে ভুলে গেলে চলবে না, আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ত্বকের নিজস্ব জৌলুসে, প্রসাধন সামগ্রীতে নয়। তাই ত্বকের যত্নেও থাকা চাই বাড়তি সচেতনতা।
সকলের ত্বক এক রকম নয়। কারও খুব তেলতেলে তো, কারও আবার বেশ শুষ্ক। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেমন প্রসাধন সামগ্রী বেছে নেওয়া জরুরি, তেমনই ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্নেরও অভিমুখ ঠিক করতে হবে। কোন পথে যত্ন নিলে সুফল মিলবে বেশি, তা বোঝা প্রয়োজন। তবে প্রাথমিক ভাবে দু’রকম ত্বকের ক্ষেত্রেই একই ধরনের যত্ন হবে।
১) ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক— সকালের ত্বকের পরিচর্যায় থাকবে ক্লিনজার, টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম। কোথাও বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন। বাইরে বেশ অনেক ক্ষণ থাকলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মেখে নিন।
২) ত্বকের মৃত কোষ দূর করা জরুরি। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্রাবিং। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি বিভিন্ন ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
৩) খাওয়াদাওয়াতেও বদল আনা জরুরি। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার রোজের পাতে রাখুন। সারা দিনে ৩-৪ লিটার জল খান। জল শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোও প্রয়োজন।
সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ত্বকের নিজস্ব জৌলুসে, প্রসাধন সামগ্রীতে নয়। প্রতীকী ছবি।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন
হায়লুরোনিক অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের দেখাশোনা করে। ত্বকের প্রতিটি কোষকে সজীব রাখতে এই উপাদান খুবই উপকারী। শুষ্ক ত্বকের আরও একটি উপকারী উপাদান হল ভিটামিন ই। ভিতর থেকে ত্বক সুস্থ রাখতে রোজের রূপরুটিনে রাখতে পারেন এই হায়লুরোনিক অ্যাসিড। ‘আমন্ড’, ‘সানফ্লাওয়ার’, এবং ‘ফলিক’ অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের বিশেষ বন্ধু।
তৈলাক্ত ত্বক
স্যালিসিলিক অ্যাসিড তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের ত্বক খুব তেলতেেল, প্রসাধন সামগ্রী কেনার আগে দেখে নিন, তার উপকরণে স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে কি না। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। এই অ্যাসিড ব্রণ দূর করতে পারে নিমেষে।