ফেশিয়ালের পর কোন কৌশল মানলে জেল্লা দীর্ঘস্থায়ী হবে?
পুজো আসতে বাকি আর মাত্র এক মাস। পুজোয় জেল্লাদার ত্বক পেতে হলে এখন থেকেই নিতে হবে প্রস্তুতি। ত্বক ভর্তি ব্রণ, কালচে দাগছোপ দূর করতে ফেশিয়ালে ভরসা রাখাই যায়। তবে এক বার ফেশিয়াল করলে উপকার মিলবে এমনটা হয়! পুজোর আগে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দুই থেকে তিন বার ফেশিয়াল করলে তবেই ফিরবে জেল্লা।
তবে ফেশিয়াল করানোর পরেও মনের মতো ফল পান না অনেকে। ফেশিয়ালের পর অনেকেই এমন কিছু কাজ করে থাকেন, যার জন্য ত্বকের ভাল হওয়ার পরিবর্তে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়।
১) ফেশিয়াল করানোর পর অন্তত এক দিন ভুলেও মেক আপ করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। কোনও অনুষ্ঠান থাকলে তার দিন দুয়েক আগে ফেশিয়াল করে নিন। ফেশিয়াল করানোর পর ত্বকের জেল্লা আসতে সময় লাগে। আর ফেশিয়ালের পর মেক আপ করলে রোমকূপে সেই মেক আপ ঢুকে যায়। এতে ত্বকেরই ক্ষতি হয়।
২) ফেশিয়াল করার পরপরই ওয়্যাক্সিং কিংবা থ্রেডিং করানো উচিত নয়। ফেশিয়ালের পর ত্বকের উপরের স্থরটি খুব নরম হয়ে যায়। তাই ওয়্যাক্সিং করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। র্যাশ বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল হয়।
ফেশিয়ালের পর যত আরামে থাকবেন, যত মানসিক উদ্বেগমুক্ত থাকবেন, ততই উপকার পাবেন।
৩) ফেশিয়াল করার পর একটি গোটা দিন ত্বকের বিশ্রামের প্রয়োজন। ফেশিয়াল করার সঙ্গে সঙ্গে এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যার ফলে প্রচুর ঘাম বেরোবে। ফেশিয়াল কনানোর পর অন্তত এক দিন জিমে না যাওয়াই ভাল।
৪) ফেশিয়ালের পর যত আরামে থাকবেন, যত মানসিক উদ্বেগমুক্ত থাকবেন, ততই উপকার পাবেন। ফেশিয়ালের পর চেষ্টা করুন গ্রিন টি, মধু বা লেবু জল খাওয়ার, এতে শরীরের টক্সিন দূর হবে। ত্বকের জেল্লা আরও বাড়বে।
৫) ফেশিয়াল করার পর মুখ ধোয়ার সময়ে খুব হালকা হাতে ধুতে হবে। কোনও রকম সাবান, ফেসওয়াশ, টোনার ব্যবহার করবেন না। মুখ ধোয়ার পর হালকা হাতে হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার লাগাতে পারেন।