নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেছে নিন সন্ধের দোল উদ্যাপনের পোশাক। ছবি: সংগৃহীত
সকালে একপ্রস্থ রং খেলা হয়ে গিয়েছে। এ বার পালা বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে দোলের জমায়েতে মাতিয়ে দেওয়া। তার জন্য চাই যথাযথ সাজগোজ। নতুন প্রজন্ম শাড়ি পরতে ভালবাসলেও দোল, বড়দিন, নতুন বছর উদ্যাপনে হাল ফ্যাশানের কেতাদুরস্ত জামাকাপড়েই বেশি স্বচ্ছন্দ। বাতাসে এখন গ্রীষ্মের আমেজ। জাঁকিয়ে গরম না পড়লেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা জমা হচ্ছে। পোশাক নির্বাচন করার আগে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়াও নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেছে নিন সন্ধের দোল উদ্যাপনের পোশাক।
১) দোল মানেই শাড়ি, চুড়িদার পরতেই হবে এমন কোনও মানে নেই। সাদা ঢিলেঢালা টি-শার্টের সঙ্গে পরতে পারেন নীল জিন্স। সঙ্গে মানানসই গয়না। হালকা রূপটান। চুলটা পনিটেল করে বাঁধতে পারেন।
২) গরম পড়েছে। দোলের পার্টিতে তাই বেছে নিতে পারেন ফুলেল নকশা করা সুতির বড় ঘেরওয়ালা জামা। ফুলহাতা হলে মন্দ হয় না। হাতে রং লাগার আশঙ্কা থাকে না। সঙ্গে মানাসই বড় দুল। হাতে চুড়ি। যথাযথ রূপটান। বড় চুল হলে খোপা করে ফুল লাগাতে পারেন। আপনার দোলের সাজ তৈরি।
দোলের রঙের কাছে আপনার পোশাকের রং যেন ফিকে না হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
৩) ভারতীয় পোশাকে উৎসবের মধ্যমণি হতে চাইলে সাদা চিকনের কাজ করা কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন সাদা পাটিয়ালা। এক কাঁধে ঝুলিয়ে নিতে পারেন বাঁধনি ছাপের লাল ওড়না। কানে পরতে পারেন বড় দুল। হাতে রুপোলি চুড়ি। চুল খোলা রাখতে পারেন। দোলের সন্ধেবেলায় হয়ে উঠবেন মোহময়ী।
৪) শাড়ি পরতে ভালবাসেন অথচ রঙের উৎসবে পরতে ঠিক ভরসা পাচ্ছেন না? শাড়ির পরিবর্তে পরতে পারেন মেখলা। রঙের দিন সন্ধেতে বেছে নিতে পারেন সমুদ্র নীল মেখলা। এখন কলমকারি ছাপ বেশ জনপ্রিয়। আলমারিতে তেমন কাজ করা কোনও পোশাক থাকলেও অনায়াসে পরতে পারেন। মোট কথা দোলের রঙের কাছে আপনার পোশাকের রং যেন ফিকে না হয়ে যায়।