কোন কোন জিনিস মুখে মাখবেনই না। ছবি: ফ্রিপিক।
রূপচর্চার সঠিক নিয়ম জানা না থাকায় অনেকেই ভুলভ্রান্তি করে বসেন। ত্বকের পরিচর্যায় এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করেন, যা মোটেও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। সব প্রাকৃতিক উপাদানই যে ত্বকের জন্য ভাল, তেমনটা নয় কিন্তু। তাই মুখে, হাতে কী কী মাখছেন, সে সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। প্রয়োজন হলে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অন্যকে দেখে বা বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে মুখে এমন কিছু মেখে ফেলবেন না, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
কী কী ভুলেও মাখবেন না?
পাতিলেবুর রস
মুখের কালো দাগছোপ তুলতে অনেকেই পাতিলেবুর রস সরাসরি মুখে মেখে ফেলেন। এমন করলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে বাধ্য। পাতিলেবুর রসের অ্যাসিড ত্বকে প্রদাহ তৈরি করবে। দাগ উঠে যাওয়ার বদলে আরও গাঢ় হয়ে বসবে। ফেসপ্যাকে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা ত্বকের ধরন বুঝে। না হলে ত্বকে ফোস্কা পড়তে পারে।
গরম জলে মুখ ধুচ্ছেন না তো?
শীতকালে উষ্ণ গরম জলে মুখ ধোয়া যেতে পারে, কিন্তু এমনি সময়ে মুখে গরম জল কখনওই দেবেন না। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে। গরম জলে দিনের পর দিন মুখ ধুলে, ত্বক লাবণ্য হারাবে। রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যাবে। যদি একান্তই গরম জল ব্যবহার করতে হয়, তা হলে ঠান্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ জলেই মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
মাজন একেবারেই নয়
অনেককেই দেখবেন, ব্রণ বা ফুসকুড়িতে দাঁত মাজার মাজন লাগিয়ে রাখেন। ফোড়া হলে যাতে তা তাড়াতাড়ি ফেটে যায়, সে জন্যও মাজন লাগান অনেকে। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। ত্বকে মাজন লাগালে, মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে যাবে। যে জায়গায় মাজন লাগিয়ে রাখছেন, সেই জায়গাটা পুড়ে কালো হয়ে যাবে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ময়েশ্চারাইজ়ার বা সানস্ক্রিন
মুখে যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, তার লেবেলটা ভাল করে পড়ে নেন তো? মেয়াদ উত্তীর্ণ ময়েশ্চারাইজ়ার হোক বা সানস্ক্রিন, কখনওই ত্বকে লাগাবেন না। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কিছু ত্বকে লাগালেই সেখানে সংক্রমণ হতে পারে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা লাগালে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে, এই ধারণা ভুল। বরং বেকিং সোডা সরাসরি মুখে মাখলে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ত্বক খসখসে ও শুকনো হয়ে যাবে।