রূপচর্চা হোক সর্ষের তেল দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা কিংবা নিরামিষ বেগুন বাহার— সর্ষের তেল দিয়ে রাঁধলে আলাদাই স্বাদ হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁজ আর গন্ধেই যেন সাধারণ রান্না অনন্য হয়ে ওঠে। সর্ষের তেলের গুণে রান্নায় যেমন আলাদা স্বাদ আসে, তেমনই এই তেল ত্বকের দেখাশোনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রূপচর্চায় সর্ষের তেলের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। অথচ সর্ষের তেলের ঝাঁজেই ত্বক হয় পেলব, কাচের মতো। ঘরোয়া টোটকায় ত্বকের খেয়াল রাখেন অনেকেই। ত্বকের যত্নে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকও ব্যবহার করেন অনেকে। এক বার সর্ষের তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ত্বকে সত্যিই আলাদা একটা পরিবর্তন আসবে।
সর্ষের তেল, চন্দনগুঁড়ো এবং গোলাপজল
চন্দনগুঁড়ো এবং গোলাপজল রূপচর্চার অতি জনপ্রিয় উপকরণ। এই দু’টির সঙ্গে অল্প করে মিশিয়ে নিন সর্ষের তেল। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
হলুদ, সর্ষের তেল এবং বেসন
এক চামচ সর্ষের তেলের সঙ্গে আধ চামচ বেসন এবং এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই প্যাক বেশ উপকারী। ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
ত্বকের যত্নে সর্ষের তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
সর্ষের তেল এবং অ্যালো ভেরা জেল
অ্যালো ভেরা জেল রূপচর্চায় কত উপকারী তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে সর্ষের তেল মিশিয়ে নিলে বাড়তি একটা জেল্লা আসবে ত্বকে। এই প্যাকটি মেখে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন।
মধু এবং সর্ষের তেল
ত্বক কোমল এবং মসৃণ করতে মধুর জুড়ির মেলা ভার। তবে শুধু মধু না মেখে বরং তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন সর্ষের তেল। মধু এবং সর্ষের তেলের জুটি ত্বকের কোষে পুষ্টি জোগায়। এই প্যাকটি ত্বকে মেখে মিনিট দশেক অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। জেল্লা আসবে ত্বকে।
যে কোনও নতুন উপকরণ ত্বকে ব্যবহার করার আগে এক বার অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে দেখেন নেবেন।