পাকা চুল কালো করার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরছে। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই পাকা চুল চোখে পড়ছে। আর তাতেই মনের রং কেমন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। পুজোর সময়ে ওই পাকা চুল ঢাকতে অস্থায়ী ভাবে চুলে রং করিয়েছিলেন। কিন্তু ঘন ঘন চুলে রং করালে চুলের বারোটা বাজবে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকা চুলের বাড়বৃদ্ধি শ্লথ করতে নানা রকম তেল ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ফল মেলেনি। তবে আয়ুর্বেদে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে পাকা চুলেও কালো রং ধরতে পারে।
১) আমলকি
ভিটামিন সি-যুক্ত এই ফল নতুন চুল গজাতে যেমন সাহায্য করে। তেমন সাদা চুল, কালো করতেও সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি মাখার পাশাপাশি খেতেও হবে। কারণ, এই ফল বিপাকহারও বাড়িয়ে তোলে। এই সব শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলি সঠিক নিয়মে চললে, চুল পেকে যাওয়ার গতি কিছুটা হলেও শ্লথ করা যায়।
২) কেশুত পাতা
নতুন চুল গজানোর জন্য কেশুত পাতা খুবই কার্যকর। আয়রন, ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ কেশুত চুলের ফলিকলগুলিতে পুষ্টি জোগায়, গোড়া থেকে চুল মজবুত করে তোলে। নারকেল তেলের মধ্যে একমুঠো কেশুত পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। একই ভাবে ঠান্ডা হলে মাথায় মেখে নিন। খুব ভাল হয় যদি এই তেল রাতে মেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
জবাফুল অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) জবাফুল
জবাফুলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এক বাটি জলে বেশ কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জলের রং লালচে হয়ে আসবে। এ বার তা ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দু-তিন বার ব্যবহার করুন।