ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির হেঁশেলে ডিম থাকবেই। মুখরোচক জলখাবার হোক বা ডিমের নানা পদের সঙ্গে রুটি কিংবা ভাত— সস্তা অথচ পুষ্টিকর এমন উপাদানের চাহিদা নেহাত কম নয়। শুধু রান্নাতেই নয়, চুলের নানাবিধ সমস্যায় যে ডিম দারুণ উপকারী, সে বিষয়ে অনেকেই হয়তো অবহিত। কিন্তু ত্বকেরও নানা সমস্যাতেও ডিম অবর্থ্য দাওয়াই হয়ে উঠতে পারে, সে কথা জানতেন কি?
ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন। যা ত্বক টানটান করে।
ত্বকের কোন সমস্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন ডিম?
১) তৈলাক্ত ত্বকে: তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা লেগেই থাকে। এ ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ, অর্ধেক লেবুর রস আর এক চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন। মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। সেই সঙ্গে রোমছিদ্রগুলিও পরিষ্কার রাখে।
প্রতীকী ছবি
২) জেল্লাহীন ত্বকে: গরমে ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়। ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক দেখায়। এ ক্ষেত্রেও ডিম দিয়েই হতে পারে সমস্যার সমাধান। একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার তার সঙ্গে দু’টেবিল চামচ কমলালেবুর রস আর আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে দু’দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
৩) সংবেদনশীল ত্বকে: গরমের দিনে সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। বাজারচলতি নামী-দামি পণ্য ব্যবহার করেও লাভ হয় না। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ডিমের ফেসপ্যাক। একটি পাত্রে একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চামচ টক দই, শশার রস আর এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন। এ বার ফেসপ্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। ত্বককে ঠান্ডা রাখবে।