—ফাইল চিত্র।
বাটারমিল্ক, যা আদতে মাখন তোলা দুধ, তা গরমের দেশে শরীর ঠান্ডা রাখতে খাওয়া হয়। তবে তা ছাড়াও এর আরও অনেক উপকার আছে। বাটারমিল্ক ত্বক পরিচর্যাতেও কাজে লাগে। রূপটান শিল্রীরা বলছেন, বাটারমিল্ক দিয়ে ভাল ক্লিনজ়ার, ময়েশ্চারাইজ়ার এমনকি, রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরানোর মতো ফেসপ্যাকও বানানো যেতে পারে।
—ফাইল চিত্র।
ক্লিনজ়ার
ত্বকের রন্ধ্রে প্রবেশ করে ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে বাটারমিল্ক কার্যকরী। মৃতকোষ দূর করার পাশাপাশি, ত্বকে ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাটারমিল্ক।
সামান্য অলিভ অয়েল এবং আমন্ড অয়েলের সঙ্গে বাটারমিল্ক ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। এতে দু’-এক ফোঁটা গোলাপ জলও দিতে পারেন। ওই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
ময়েশ্চারাইজ়ার
ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার তৈরি করা যেতে পারে বাটারমিল্ক দিয়ে। নিয়মিত ব্যবহার করতে ত্বকে দাগ ছোপ পরিষ্কার হবে। বলিরেখাও থাকবে দূরে।
মিক্সিতে বাটারমিল্ক এবং ওটস মিশিয়ে মিহি এবং গাঢ় মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে এবং হাতে লাগিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। শুকিয়ে যেতে দিন পুরোপুরি। তার পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
—ফাইল চিত্র।
ফেসপ্যাক
বাটারমিল্কে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড। যা খুব ভাল ‘এক্সফলিয়েটর’। অর্থাৎ ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করতে পারে। অ্যালোভেরার সঙ্গে মেশালে সেই মিশ্রণ ত্বককে মুহূর্তে উজ্জ্বল করে তোলে। দূর করে দাগছোপ।
বাটারমিল্কের সঙ্গে মধু, অ্যালোভেরার জেল, মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না মিহি মিশ্রণ তৈরি হচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করুন। এর পরে ওই মিশ্রণে দু’ফোটা গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে হাতে ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।