বিয়ের ভেন্যুর মতই চমক ছিল কনের সাজেও। ছবি: সংগৃহীত
কেমন হবে বিয়ের সাজ, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত বিয়ে বলে কথা। আলিয়া-রণবীরের বিয়ের তারিখ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ভট্ট পরিবারের তরফ থেকেও একেক সময়ে একেক রকম তারিখের ইঙ্গিত এসেছিল। গতকাল মেহেন্দির অনুষ্ঠান থেকে ফিরে নীতু কপূর বিয়ের তারিখ নিশ্চিত করে জানান। অবশেষে আজ, ১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার কপূর পরিবারের পৈতৃক বাড়ি ‘বাস্তু’তে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতেচার হাত এক হল আলিয়া ভট্ট এবং অভিনেতা রণবীর কপূরের। পা দিলেন নতুন জীবনে। অনেক দিন পরে বলিউডের কোনও চর্চিত যুগল ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বা পাঁচতারা হোটেলেরবদলে বিয়ে সারলেন মুম্বইয়ে নিজেদের বাড়িতে। আলিয়া ভট্ট বিয়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে জানিয়েছেন, যে জায়গায় গত পাঁচ বছর তাঁরা অসংখ্য মুহূর্ত কাটিয়েছেন, ঠিক সেই জায়গাতেই বিয়ে সারলেন তাঁরা— তাঁদের প্রিয় বারান্দায়। বিয়ের ভেন্যুর মতই চমক ছিল কনের সাজেও।
বিয়ে শেষ হতেই সেই পোশাকে ফোটোশ্যুট সেরে ফেলেন নবদম্পতি। ছবি: সংগৃহীত
পোশাকশিল্পী বলিউডের প্রিয় সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ই। কিন্তু অন্য বলিউডি কনের চেয়ে আলিয়ার সাজ ছিল স্বতন্ত্র। লাল, গোলাপি, কমলার লেহঙ্গার বদলে হাতে রং করা আইভরি রঙের অরগ্যাঞ্জা শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। গোটাপাট্টির কারুকাজের বদলে শাড়ি এবং হাতে বোনা টিস্যু ওড়নায় ছিল সোনালি জড়ি এবং চুমকির কাজ। সেই সুতোর টানে বিয়ের প্রজাপতি ফুটে উঠেছিল আলিয়ার লেহঙ্গায়। মাথায় ছিল সব্যসাচীরই মাথাপট্টি। কিন্তু চুল খোলা।
বলিউডি বিয়ের ধারা মেনে শুধু আলিয়া ভট্ট নয়, রণবীর কপূরও সেজেছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাকে। এ দিন রণবীরের পরনে ছিল সিল্কের শেরওয়ানি এবং কারুকাজ করা সিল্কের অরগ্যাঞ্জা শাল। দু’জনেই পরেছিলেন হিরে এবং মুক্তো বসানো গয়না।
বলিউডি বিয়ের ধারা মেনে শুধু আলিয়া ভট্ট নয়, রণবীর কপূরও সেজেছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাকে। প্রতীকী ছবি
বরমালাও ছিল অন্য রকম। বেল ফুল আর জিপসি দিয়ে তৈরি বরমালা যেমন অন্য রকম, তেমনই আলিয়ার কলিরে সোনালির বদলে ছিল রূপোলি রঙের। আলিয়ার হাতে মেহন্দিও ছিল ছিমছাম। বোঝাই যাচ্ছে বর-কনে একটু ছিমছাম অভিজাত সাজ চেয়েছিলেন বিয়ের জন্য।
বিয়ে শেষ হতেই সেই পোশাকে ফোটোশ্যুট সেরে ফেলেন নবদম্পতি। সেখানেই দু’জনকে দেখা যায় ঠোঁটে ঠোঁট রেখে খুঁমসুটিতে মেতে উঠতে। রণবীর-আলিয়ার মুখের হাসিই বলে দিচ্ছিল দিনটি তাঁদের কাছে কতটা প্রিয়।