ভিটামিন ই কাদের ত্বকের জন্য ভাল আর কারা ব্যবহার করবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, চোখের তলায় কালি তুলতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই কার্যকরী। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ফেস মাস্কের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখে মাখা যায়। ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধান হতে পারে ভিটামিন ই। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ত্বকে লাগানো কি উচিত?
ভিটামিন ই-র মধ্যে আলফা টোকোফেরল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা ত্বককে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস যদি সরাসরি ত্বকে মাখতে শুরু করেন, তা হলে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তাঁদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের আগে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। সোরিয়াসিস বা কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস নামে ত্বকের রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই তেল লাগালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বকের জ্বালাযন্ত্রণা, প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হলে তা দই, মধু, লেবুর রসের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। পাকা পেঁপে, মধু আর লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়েও ভিটামিন ই মাখতে পারেন। যদি ত্বকে ভিটামিন ই মাখলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তা হলে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন ডায়েটে। পালং শাক, অ্যাভোকাডো, কাঠবাদাম, ব্রোকোলি, ডিম, চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। রোজের ডায়েটে রাখলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।