পরিণীতির বিয়ের প্রথম চিহ্নে কী নকশা থাকছে? ছবি: সংগৃহীত।
মাঝে আর একটা দিন। ২৪ সেপ্টেম্বর চার হাত এক হতে চলেছে রাঘব চড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার। রাজস্থানের উদয়পুরে বিলাসবহুল হোটেলে বসতে চলেছে দু’জনের বিয়ের আসর। উদয়পুরের হোটেলের প্রস্তুতিপর্ব তাই এখন তুঙ্গে। সাতপাক ঘোরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার সকালেই উদয়পুরের জন্য রওনা হয়েছে চড্ডা এবং চোপড়া পরিবার। বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান পুরোটা এ বার উদয়পুরের হোটেলেই হবে।
বিয়ের দিন কী ভাবে সাজবেন বর-কনে? ছবি: সংগৃহীত।
২১ তারিখ অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার ছিল পরিণীতি-রাঘবের সুফি নাইট। গুজরাতি মতেই বিয়ের নিয়মকানুন সব মানা হচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান। তার পর একটি থিম পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেই পার্টির পরেই হবে পরিণীতির ‘চূড়া সেরিমনি’। বিয়ের প্রথম চিহ্ন উঠবে পরিণীতির হাতে। সেই সঙ্গে মেহন্দির অনুষ্ঠানও হবে।
শুধু লাল-সাদা চূড়া নয়, পরিণীতির হাতে চূড়ার সঙ্গে ঝুলবে কলিরেও। বিয়ের দিন কী ভাবে সাজবেন বর-কনে, তার কোনও ঝলক এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে পরিণীতির চূড়া এবং কলিরের নকশা কেমন হবে তা জানা গিয়েছে।
রাঘব এবং পরিণীতির সম্পর্ক বহু দিনের। লন্ডনে পড়তে গিয়ে দেখা হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু। তার পর ধীরে ধীরে প্রেম। সেই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে রবিবার। রূপকথার মতো এই প্রেমগাথা চূড়া এবং কলিরেতে ধরে রাখছেন দম্পতি। কলিরে এবং চূড়ার নকশায় ফুটে উঠবে দু’জনের প্রেমের কাহিনি। এই ভাবনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। জীবনের এই বিশেষ দিনটিকে নিয়ে রাঘব এবং পরিণীতি বেশ উত্তেজিত, উদয়পুরে বিমানবন্দরে দু’জনকে দেখে তা বেশ বোঝা গিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিয়ে উপলক্ষে ৫০টি গাড়ি আর ১২০-র বেশি ট্যাক্সি বুক করা হয়েছে। বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ২৩ সেপ্টেম্বর উদয়পুরে পৌঁছে যাবেন। পঞ্জাবি খানাপিনা ছাড়াও তাঁদের বিয়েতে ইটালিয়ান খাবারের বন্দোবস্ত থাকছে।