ছকভাঙা সাজে বিল্লি পর্টার। ছবি: সংগৃহীত।
মহিলা ও পুরুষের পোশাক আলাদা! মেয়েদের পরনে যে পোশাক থাকবে তা আবার পুরুষরা পরতে পারেন নাকি? শুধু ভারতেই নয়, এই একই ধারণা পোষণ করতেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফ্যাশন দুনিয়ার দিগ্গজেরাও! তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের সংজ্ঞা বদলায়, এটাই ফ্যাশন জগতের বিশেষত্ব। আবারও সেই উদাহরণ পেল ফ্যাশন দুনিয়া। ২০২৩ সালে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের রেড কার্পেটে অভিনেতা বিল্লি পর্টারের পরনে দেখা গেল টাক্সেডো ড্রেস।
ফ্যাশনের বাঁধাধরা ছকের বাইরে গোলাপি টাক্সেডো ড্রেস পরে ছেলেদের ফ্যাশনের ভোল বদলানোর প্রয়াসে বেশ সফল হলেন বিল্লি। কেবল গাউন ট্রেস নয়, বিল্লির পরনে ছিল মেয়েদের হাইহিল বুটস্ও। কালো কিংবা একরঙা নয়, চকচকে রুপোলি রঙের পরেছিলেন বিল্লি। হাতের বিভিন্ন আঙুলে বড় বড় হিরের আংটি। কানে দুল। নেলপলিশটিও ছিল বেশ নজরকাড়া।
ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পরতেই বেশ চর্চায় রয়েছে বিল্লির এই ছকভাঙা সাজপোশাক। এই প্রথম নয়, ২০১৯-এর এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও কালো রঙের কোট স্টাইল গাউন পরেছিলেন তিনি। স্যুটের সঙ্গে স্কার্ট পরেও ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন বিল্লি।
ভারতে একমাত্র অভিনেতা রণবীর সিংহের পরনে দেখা যায় এই ধরনের পোশাক।
নারী-পুরুষের খাপে বসানো চিন্তাধারার তোয়াক্কা না করে এই বিশেষ ধরনের পোশাক পরার স্টাইলকে অ্যান্ড্রোজিনাস ফ্যাশন বলে। এই ঘরানায় সাজকে কোনও লিঙ্গের মধ্যে সীমিত রাখতে নারাজ শৌখিন-শৌখিনীরা। ভারতে একমাত্র অভিনেতা রণবীর সিংহের পরনে দেখা যায় এই ধরনের পোশাক। তবে রণবীরের পোশাক নিয়ে বলিপাড়ার চর্চার শেষ নেই। অনেকে এই পোশাককে তামাশা করেন, কেউ কেউ আবার রণবীরকে খুব বেশি লোকদেখানো মনে করেন। তবে এমন মানুষও আছেন, যাঁরা ছকভাঙা সাজকে আপন করে নেওয়ার জন্য রণবীরকে বাহবাও দেন।