ছবি: সংগৃহীত।
চুল ঝরা, পাতলা হয়ে যাওয়া, অকালপক্বতা রোধ করা যায় জবাফুল মাখলে। জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুল হয় জটমুক্ত, রেশমের মতো কোমল। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’-এর তথ্য বলছে, এই ফুলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি। এগুলি সামগ্রিক ভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলিকলগুলিও পুষ্টি পায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
আবার, নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আমলকিতে রয়েছে অজস্র ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। তা মাথায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে তাড়াতাড়ি। আমলকিতে রয়েছে ট্যানিন এবং ক্যালশিয়াম। অতিরিক্ত তাপ থেকে চুলের ক্ষতি রুখে দিতে পারে এই উপাদানগুলি। তাই চুল ঝরে পড়া অনেকটাই কমে যায়। আমলকির রস নিয়মিত কয়েক দিন মাথায় মাখলে চুল ঝরে পড়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষ করে, হরমোনের মাত্রা কম-বেশি হওয়ার কারণে চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারে আমলকি। এই ফলে রয়েছে কোলাজেন। যা চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তাই আমলকিতে ভরসা রাখাই যায়।
কিন্তু কোনটি কার জন্য ভাল, বুঝতে পারছেন না। কেশচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে দু’টিই ভাল। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দু’রকম তেলই মাখা যায়। কে কোনটি মাখবেন তা অনেকটাই রুচির উপর নির্ভর করে।
কী ভাবে তৈরি করবেন জবাফুলের তেল?
একটি পাত্রে খানিকটা জল গরম করুন। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জবাফুল দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে দেখবেন জলের রং বদলে গিয়েছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তরল ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রেখে দিন। এ বার পরিষ্কার কাচের পাত্রে ওই তরল এবং নারকেল তেল সম পরিমাণে মিশিয়ে ফেলুন। চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের ঘণ্টাখানেক আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
কী ভাবে তৈরি করবেন আমলকির তেল?
আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পর নারকেল তেলের সঙ্গে সেই টুকরোগুলি মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। নিয়মিত এই তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করুন। চুলের একাধিক সমস্যার দাওয়াই হতে পারে এই তেল।