চুলে তেল মালিশ করছেন, সঠিক পদ্ধতি জানেন তো? ছবি: ফ্রিপিক।
মা, ঠাকুমারা বলেন, তেল লাগালে চুল ভাল থাকে। কিন্তু সত্যি কি তাই!
মাথার ত্বকে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। ফলে চুল ঝরা কমার পাশাপাশি, প্রাপ্তি হয় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল কেশ। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে তেল মালিশেই। কিন্তু কী ভাবে? কতটা তেল চুলের জন্য উপযুক্ত হতে পারে?
চুল ও মাথার ত্বক নিয়ে যাঁরা চর্চা ও কাজ করেন তাঁদের কথায়, মাথার ত্বক থেকে চুলে সঠিক পদ্ধতিতে তেল মালিশে যেমন উপকার হয়, তেমনই বাড়তি চাপ বা ঘষাঘষি চুলে ভেঙে ও ঝরেও যেতে পারে। তাই মালিশের যথাযথ উপকার পেতে সঠিক নিয়ম-বিধি মানা জরুরি। আঙুলের ডগা দিয়ে চক্রাকারে মালিশ চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে মাথার ত্বকে ভাল ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। তবে একসঙ্গেই খেয়াল রাখতে হবে, মালিশের সময় যেন বেশি চাপ দেওয়া না হয় বা চুলে যেন জট না পড়ে যায়।
শুকনো না ভিজে, কোন চুলে তেল মালিশ করা উপযুক্ত?
চুল শুকনো হোক বা ভিজে তেল লাগানো যায়। তবে কোন ধরনের তেল ব্যবহার হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন নারকেল তেল। এটি একটু চটচটে মোটা হয়। শুকনো চুলে এই তেল লাগালেই ভাল। কারণ, চুলের পুষ্টিগুণ শুকনো চুলই ভাল শোষণ করতে পারে। তবে পরিষ্কার চুলেই সর্বদা তেল মালিশ করা উচিত, বলছেন চুল নিয়ে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।
ঠান্ডার চেয়ে উষ্ণ তেল মাথায় মাখলে উপকার বেশি। তেল গরম করলে কিছুটা পাতলা হয়ে যায়, ফলে চুলে ভাল ভাবে মেশে। তেল মালিশের পর তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে, তা নিংড়ে মাথায় দিলে উপকার আরও বেশি পাওয়া যায়।
কতটা তেল মাখবেন?
কেউ কেউ মনে করেন চপচপে করে তেল মাখলেই বুঝি চুল ভাল বাড়বে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। কতটা তেল মাখতে হবে, তা নির্ভর করে তেল, চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্বের উপর। প্রথম মাথার ত্বক থেকে চুলের মাঝ পর্যন্ত আঙুলের ডগা দিয়ে তেল লাগিয়ে নিতে হবে। তার পরে বাকি অংশে। তেল লাগিয়ে নেওয়ার পর হালকা হাতে চক্রাকারে মালিশ করতে হবে। তার পর ঘণ্টা দুয়েক রাখলেই যথেষ্ট।
চুলে তেল মালিশের সঠিক উপায়
চুল ভাল করে আঁচ়ড়ে অল্প অল্প করে ভাগ করে নিতে হবে।
গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত আঙুলের সাহায্য হালকা গরম তেল মাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন প্রতিটি চুলে তেল লাগে। তবে তেল লাগিয়ে চুল শক্ত করে বাঁধা বিপজ্জনক হতে পারে। মালিশের ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এই অবস্থায় টেনে চুল বাঁধলে চুল ভেঙে ও ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
তেল মালিশের ঘণ্টা দুই পর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে বেশ উপকার মিলবে।
পাশাপাশি, স্নানের সময়ে খুব ভাল ভাবে চুল থেকে তেল পরিষ্কার করতে হবে। মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।