দুর্গাপুজোর সাজ হোক না রণবীর সিংহের মতো নজরকাড়া। ছবি: সংগৃহীত।
ছেলেরাও এখন পোশাক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন। তাঁরা শাড়ি দিয়ে ধুতি পরছেন, কখনও আবার কোনও বলিউড অভিনেতাকে দেখা যাচ্ছে স্কার্ট পরতে। আগে যেমন অনেক ছেলেই ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক পরতে স্বচ্ছন্দ হতেন না, এখন কেবল গোয়াতেই নয়, কলকাতার রাস্তাতেও অনেককেই দেখা যাচ্ছে তেমন সাজে। তবে রং নিয়ে ছেলেরা খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান না। সাদা-কালো আর নীলের বাইরে অন্য রঙের পোশাক পরায় অনেকরই বড্ড আপত্তি, অনেকে আবার স্বচ্ছন্দ নন। জেনে নিন, কোন রঙের সঙ্গে কিসের মেলবন্ধন সব ছেলেকেই ভাল মানায়।
নীল-সাদা: ষষ্ঠীর দিন বন্ধুর বাড়ির আাড্ডায় কী পরবেন বুঝতে পারছেন না? সাদা শার্ট আর নীল জিন্স পরলে কিন্তু সকলকেই ভাল লাগে। নীল শার্টের সঙ্গে সাদা ট্রাউজ়ার্সও পরে দেখতে পারেন। ট্রাউজ়ার্স কিনতে গেলেই তো কালো, ধূসর আর নীলের দিকে চোখ চলে যায়। আলমারিতে সাদা ট্রাউজ়ার্স রাখলে আপনি কিন্তু যে কোনও রঙের শার্টের সঙ্গেই পরে ফেলতে পারেন।
গোলাপি-ধূসর: গোলাপি মানেই মেয়েদের রং নয়। সপ্তমীর সাজে নতুনত্ব আনতে চাইলে গোলাপি-ধূসরের রঙের পোশাক জুটি বেঁধে পরতে পারেন। গোলাপি শার্টের সঙ্গে ধূসর রঙের ট্রাউজ়ার্স পরতে পারেন। সাদা, কালো, নীলের বাইরে উজ্জ্বল রংগুলিও পরে দেখতে পারেন। পুজোর আগে শপিং মলে গেলে গোলাপি রঙের টিশার্ট কিনে আনুন। এক বার পরেই দেখুন, কেমন লাগে?
নীল-কালো: নীল রং আর কালোর মেলবন্ধন কিন্তু সব ছেলেকে দারুণ মানায়। অষ্টমীর সকালে পাঞ্জাবি পরলেও, রাতে আকাশি শার্ট কিংবা টিশার্টের সঙ্গে কালো জিন্স রাখতেই পারেন পছন্দের তালিকায়। প্রেমিকার নজরে আসতে এই রং নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই যায়।
সাদা-কালো: এই পুজোয় একটা সাদা আর কালো শার্ট কিনে ফেললেই কিন্তু বিভিন্ন ভাবে সাজতে পারেন। সাদা শার্ট কিংবা টি-শার্টের সঙ্গে কালো জিন্স পরে ফেললেই পুজোতে নজর কাড়তে পারেন প্রিয়জনের।
সবুজ-বাদামি: পুজোর দশমীতে বিসর্জনের পর কোনও পার্টি হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে আউটিং, কোন রঙের পোশাক পরবেন বুঝতে না পারলে সবুজ আর বাদামি রঙের জুটি পরতে পারেন। গায়ের রং যেমনই হোক না কেন, সকলকেই এই দুই রং বেশ মানায়।