চুলে কিংবা মুখে ভাতের ফ্যান মাখলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
চাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় শীর্ষস্থানে বসিয়ে দেওয়া যায় ‘রিল’-কে!
এত দিন পর্যন্ত শাড়িতে স্টার্চ বা মাড় দেওয়ার কাজেই ফ্যান ব্যবহার করতেন। ওই জিনিসটি যে রূপচর্চার কাজেও লাগতে পারে, তা কস্মিনকালেও শোনেননি।। ওই ‘রিল’ ঘাঁটতে গিয়েই একদিন চাল ধোয়া জল এবং ফ্যানের উপকারিতার কথা জানতে পেরেছিলেন। রূপচর্চার কাজে এই তরলগুলি ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। কিন্তু চাল ধোয়া জল না কি ভাতের ফ্যান— কোনটি ত্বকের পক্ষে ভাল?
রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন, ফ্যান এবং চাল ধোয়া জল দু’টিই উপকারী। তবে প্রয়োজন বা সমস্যা অনুযায়ী তার ব্যবহার আলাদা। শ্যাম্পু করার পর চাল ধোয়া জল দিয়ে চুল ধুলে তা হবে রেশমের মতো। আবার ঢেউ খেলানো চুল যদি প্রাকৃতিক ভাবে সোজা করতে হয়, তা হলে কিন্তু ফ্যান দারুণ কাজ করবে। মুখের ক্ষেত্রেও তা-ই। যে হেতু ফ্যানের ঘনত্ব বেশি, তাই টোনার হিসাবে নয়, বরং ফেসপ্যাকে তা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু টোনার তৈরি করতে চাইলে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করাই ভাল।
ফ্যানের মধ্যে এমন কী আছে?
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা, ক্ষতপূরণ করা থেকে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলা— ফ্যানের অনেক গুণ। অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই তরল চুল এবং ত্বক— দুইয়ের ক্ষেত্রেই ভাল। ফ্যানের মধ্যে ভিটামিন বি এবং ই থাকে। যা ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরের মধ্যে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমে।
কী ভাবে ফ্যান মুখে বা চুলে মাখবেন?
১) প্রথমে আধ কাপ চাল ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) যে পরিমাণ চাল নিয়েছেন তার দ্বিগুণ জল নিন।
৩) যে ভাবে ভাত রাঁধা হয়, সে ভাবেই ফুটিয়ে নিন।
৪) ভাত হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। ফ্যান আলাদা করে রাখুন।
৫) ফ্যান স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তা স্প্রে বোতলে ভরে নিন। শ্যাম্পু করার আগে তা মাথায় মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা।
৬) ভাতের ফ্যান মুখে টোনার হিসাবেও মাখা যায়, আবার ফ্যান দিয়ে কোনও ফেসপ্যাক গুলে মুখে মাখতে পারেন।
৭) তবে ফ্যান বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেখান থেকে আবার ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই টাটকা ব্যবহার করে নেওয়াই ভাল।
আবার কিছু ক্ষণ চাল ভিজিয়ে রাখার পর ঘোলাটে ওই জল রেখে দেন অনেকে। শ্যাম্পু করার পর তা দিয়ে অনেকেই চুল ধুয়ে নেন।