শিট মাস্ক ব্যবহার করেন? ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে ত্বকচর্চার জন্য এত খাটাখাটনি করতেও ইচ্ছা করে না। অথচ রোজ মুখের একটু যত্নআত্তি করলেই কিন্তু ছোট ছোট সমস্যাগুলি দূর করা যায়। চালের গুঁড়ো, হলুদ, টক দই কিংবা কফি, বেসন, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে মেখে, কাঠের মতো শুয়ে থাকার সময় নেই। ওই সব প্যাক মুখে মেখে যে হেঁশেলে ঢুকবেন, তারও উপায় নেই। আগুনের তাপ, গরমে প্যাক গলে জামাকাপড়ে মাখামাখি হয়ে যায়। এই সব ঝক্কির থেকে মুক্তি পেতে ইদানীং অনেকেই শিট মাস্ক ব্যবহার করেন। ঘরোয়া উপাদান বাদ দিয়ে রাসায়নিক দেওয়া শিট মাস্ক ব্যবহার করা কি আদৌ ভাল? এ বিষয়ে ত্বকের চিকিৎসকদের মত, ক্লিনজ়িং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজ়িং বা এক্সফোলিয়েটের কোনও বিকল্প হতে পারে না। তবে কোথাও যাওয়ার আগে হাতে সময় কম থাকলে কিংবা কাজের সুবিধার জন্য মাঝেমধ্যে শিট মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে।
শিট মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের ঠিক কী কী উপকার হয়?
১) ত্বকচর্চায় শিট মাস্কের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণ হল ব্যবহার করার সুবিধা। চিরাচরিত পদ্ধতিতে তৈরি ঘরোয়া প্যাক বা মাস্ক পোশাক নষ্ট করতে পারে। সেই সমস্ত ঝক্কি শিট মাস্কের ক্ষেত্রে সে ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যে কোনও জায়গায় বসে সহজেই শিট মাস্ক মুখে লাগিয়ে নেওয়া যায়।
২) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে এই শিট মাস্ক। ত্বকের প্রয়োজন বুঝে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, কোলাজেন এবং ভিটামিনে ভরপুর এই মাস্ক নিষ্প্রাণ ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে এই শিট মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত।
৩) সারা দিনের হাড়ভাঙা খাটনির পর ত্বকও একটু শীতল হতে চায়। তবে তার জন্য বেশি খাটতে হলেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে। তার চেয়ে ভাল শিট মাস্ক। বেশি পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই। প্যাকেট কেটে মুখে উপর বসিয়ে দিলেই হল। রোদ থেকে ফিরে আসার পর ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব নিরাময় করেতও সাহায্য করে।