মাথায় অ্যালো ভেরা এবং আমলকি একই সঙ্গে কী করে মাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার বহু পুরনো। ভিটামিন ই এবং সি সমৃদ্ধ ফলটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সহ নানা রকম খনিজে ভরপুর। তবে চুল ভাল রাখতে আরও একটি প্রাকৃতিক উপাদানও বেশ কার্যকর। অ্যালো ভেরা। একে ঘৃতকুমারীও বলা হয়। এই গাছটির শাঁস ত্বক এবং চুলের জন্য বেশ উপকারী।
চুলের যত্নে এই দুই উপকরণ আলাদা ভাবে ব্যবহার করাই যায়। তবে আমলকি, অ্যালো ভেরার প্যাক ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার মিলবে কি?
আমলকি এবং অ্যালো ভেরা
ভিটামিন সি, ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। খনিজে ভরপুর আমলকিতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। তা মাথায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে চুল বাড়েও তাড়াতাড়ি। এ ছাড়াও খুশকি এবং ছোটখাটো সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে ফলটি।
অন্য দিকে, অ্যালো ভেরা চুলে আর্দ্রতা জোগায়। চুল মসৃণ করে। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে, রুক্ষ হয়ে পড়লে অ্যালো ভেরার শাঁস বিশেষ কাজে আসে। আ্যলো ভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। যা মাথার ত্বকে নতুন ফলিকল উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
এই দুই উপকরণ মিশিয়ে নিলে কী লাভ ?
এই দুই উপকরণে থাকা ভিটামিন, খনিজই চুলের জন্য ভাল। ফলে দু’টি উপকরণ মিশিয়ে নিলে এক দিকে চুলের গোড়া যেমন মজবুত হবে, তেমনই চুল হবে নরম, সুন্দর। বজায় থাকবে চুলের আর্দ্রতা। ডগা ভাঙার সমস্যাও কমবে।
কী ভাবে তৈরি করবেন চুলের প্যাক?
২-৩ টেবিল চামচ আমলকির গুঁড়ো ৩ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সরাসরি এই গাছের শাঁস ব্যবহার করলে অনেক সময় চুলকানি, জ্বালা হতে পারে। তাই বাজার চলতি অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করাই ভাল। দু’টি উপকরণ ভাল ভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার মাথায় মেখে নিন। হালকা হাতে মালিশ করুন। তার পর আধ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোয়ার সময় মৃদু কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
তৈলাক্ত অথবা শুষ্ক যে কোনও ধরনের চুলের জন্যই এই প্যাকটি উপকারী। সপ্তাহে এক দিন কয়েক মাস এই প্যাক ব্যবহার করলেই নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফিরবে। চুল ঝরা কমার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে প্যাকটি।