লোকে বলেন, উরফি জাভেদ দুঃসাহসী। ছবি: সংগৃহীত।
উরফি জাভেদ নামটা এখন বলিপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। কখনও ঝিনুক, কখনও আলো, কখনও সেফটি পিন, তো কখনও লাড্ডু দিয়ে শরীর ঢাকেন উরফি। আবার কখনও কিছুই থাকে না তাঁর পরনে, ক্যামেরার সামনে অবলীলায় ফোটোশুট করেন তিনি। তাঁর সাহসী ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায় সেগুলি! বলিপাড়ায় শুরু হয়ে যায় প্রশংসা ও কটাক্ষের দোলাচল! লোকে বলেন, উরফি জাভেদ দুঃসাহসী। কেউ আবার বলেন, প্রচারের আলোয় থাকার জন্য উরফির এই কৌশল নিন্দনীয়! উরফি অবশ্য বলেন, সবটাই তাঁর মর্জি।
একটা সময় ছিল যখন নিজের নকশা করা পোশাক পরেই উরফি ফোটোশুট করতেন। নামী পোশাকশিল্পীরা তাঁকে ফিরিয়ে দিতেন। তবে এখন ফ্যাশন দুনিয়ায় উরফির রমরমা। আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার মতো পোশাকশিল্পীরা উরফির সঙ্গে কাজ করছেন। এখন অবশ্য উরফির পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়েছে। বিদেশিরাও উরফির সাজে সেজে ক্যামেরাবন্দি হচ্ছেন। সমাজমাধ্যমে সেই সাজ ভাইরালও হচ্ছে। আমেরিকার এক ডিজিটাল ক্রিয়েটর চ্যাং হি কিম উরফির সাজ নকল করে ভিডিয়ো বানিয়েছেন, আর সেই ভিডিয়ো নিয়ে চর্চাও চলছে তুঙ্গে।
চ্যাং যে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে উরফি পরনে কেবল জিন্সের প্যান্ট! তবে সেই প্যান্টকেই ড্রেসের মতো করে পরেছেন তিনি। পরমুহূর্তে চ্যাংকে দেখা গেল একেবারে উরফির সাজে। সেই সাজেই ক্যাট ওয়াক করতে করতে ঘরের বাইরে চলে গেলেন তিনি। ভিডিয়োতে একটি বিড়ালকেও উঁকি মারতে দেখা গেল। ভিডিয়োর ক্যাপশনে চ্যাং লিখেছেন, ‘‘আমার বিড়ালেরও এই পোশাক পছন্দ হয়নি।’’
এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পরার পর নেটিজ়েনরা নানা রকম মন্তব্য শুরু করেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘আশা করি, এই পোশাকটি বানাতে তুমি পুরোনো জিন্স ব্যবহার করেছ।’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘আমি কাঁদব না কি মরে যাব, বুঝতেই পারছি না।’’
উরফির পোশাক নিয়ে যতই ঠাট্টা-তামাশা হোক না কেন, উরফি কিন্তু সংবাদে শিরোনামে থাকতে জানেন। কেউ ভালবাসেন, কেউ ঘৃণা করেন, কিন্তু কেউই উরফিকে অবহেলা করতে পারেন না।