ত্বক থেকে চুলে জেল্লা ফিরবে বিশেষ দুধের গুণে! ছবি: সংগৃহীত।
চুল ও ত্বক ভাল রাখতে বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। প্রতি দিন কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হলে, ধুলো, ময়লা রোদের তাপে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি রুখতে বাজারচলতি জিনিসের বদলে ভরসা করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানেও।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, প্রীতি জিন্টার মতো অভিনেত্রীরা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, রূপচর্চার বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা ভরসা রাখেন ঘরোয়া উপাদানে। চুলের যত্নে নানা জনে নানা রকম জিনিস বেছে নেন। তবে ঘন সুন্দর চুল বা পেলব ত্বক, দুইয়ের জন্যই কিন্তু বেছে নিতে পারেন নারকেলের দুধ।
ত্বকের যত্ন
ভিটামিন, ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ নারকেলের দুধ ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিশেষ সহায়ক। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই। ত্বকের লাবণ্য ফেরাতে এই দুই ভিটামিনেরই ভূমিকা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া বা জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে নারকেলের দুধ।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
সরাসরি নারেকলের দুধ মুখে ব্যবহার করতে পারেন। ১০-১২ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরও ভাল ফলের জন্য অবশ্য নারকেলের দুধ দিয়ে রকমারি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। নারকেলের দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের রং উজ্জ্বল হবে, কালচে ভাব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
নারকেলের দুধের সঙ্গে সামান্য বেসন গুলে, তাতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিলে ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার হবে।
চুলের যত্নে
রুক্ষ, শুষ্ক, অল্পেতেই জট পড়ে যায়, এমন চুলের নানাবিধ সমস্যার সমাধান হতে পারে নারকেলের দুধ ব্যবহারে। এই উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায়। রাসায়নিক ব্যবহার না করে চুল নরম ও মসৃণ ও সোজা করতে চাইলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও থাকে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ, প্রোটিন। নারকেলের দুধ শুধু চুলকে আর্দ্রতা জোগায় না, চুলের বাড়-বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
নারকেলের দুধ সরাসরি মাথায় মাখতে পারেন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করতে পারেন। আধ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিলেই চুল নরম ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
নারকেলের দুধের সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। আবার নারকেলের দুধের সঙ্গে মেথির গুঁড়ো মিশিয়েও মাখা যায়। ইচ্ছামতো যে কোনও চুলের মাস্ক বেছে নিতে পারেন। মাস্ক ব্যবহার করে আধ ঘণ্টা রেখে মৃদু শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।
স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল
১. নারকেলের দুধ শুধু ত্বক ও চুলের যত্নেই নয়, শরীরের পক্ষেও বিশেষ উপকারী। এতে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা হজমে সাহায্য করে।
২. এতে থাকা ভিটামিন সি, ই ,ফোলেট এবং আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন?
সরাসরি নারকেলের দুধ খেতে পারেন। আবার স্মুদি ও স্যুপে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন নারকেলের দুধ।
কী ভাবে বাড়িতে তৈরি করবেন নারকেলের দুধ?
টাটকা নারকেল কুরে নিয়ে তার সঙ্গে বেশ কিছুটা গরম জল দিয়ে মিক্সারে বেটে নিতে হবে।
মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার কাপড়ের মাধ্যমে ছেঁকে নিলেই পাওয়া যাবে নারকেলের দুধ।
দুধ পরিষ্কার কাচের বোতলে সংরক্ষণ করতে পারেন। ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারেন ৩-৪ দিন।