দই চুলেরও যত্ন নেয়? ছবি: সংগৃহীত।
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা— সারা বছর পেটের গোলমাল ঠেকাতে শেষ পাতে টক দই খান অনেকেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া— টক দইয়ের মতো খাবার খুব কমই আছে। টক দই শুধু ত্বকের খেয়াল রাখে না। চুলের যত্নেও টক দইয়ের বিকল্প খুব কমই আছে। অত্যধিক দূষণ, ধুলোর কারণে চুলের অবস্থা সারা বছরই বেহাল হয়ে থাকে। ফলে চুলের খেয়াল রাখতে ভরসা হতে পারে টক দই। চুলের যত্ন কী ভাবে নেয় টক দই?
খুশকি কমাতে
শীতকালে খুশকির সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। নিয়মিত শ্যাম্পু করলেও খুশকি কিছুতেই কমতে চায় না। অনেকেই খুশকি তাড়াতে নানা ট্রিটমেন্টও করান। কিন্তু বিশেষ সুফল মেলে না। তবে খুশকি তাড়াতে হাতিয়ার হতে পারে টক দই। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান খুশকি সমূলে বিনাশ করে।
চুল লম্বা করতে
চুল কিছুতেই লম্বা হচ্ছে না, এই আক্ষেপ অনেকেরই আছে। তবে লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ করতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন টক দইয়ের উপর। কারণ, দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি, জিঙ্কের মতো উপাদান। চুল লম্বা করতে এগুলি সাহায্য করে।
চুল মসৃণ করতে
শ্যাম্পু করার পরেই অনেকের চুল উশকো-খুশকো হয়ে যায়। শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রেই সাধারণত এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। চুল নরম এবং কোমল রাখতে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। উপকার পাবেন।
চুল নরম এবং কোমল রাখতে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। ছবি: সংগৃহীত।
চুল পড়া থামাতে
মাথার চেয়ে মাটিতে চুল পড়ে থাকে বেশি। অনেকেরই মুখেই এমন কথা শোনা যায়। চুল পড়ার সমস্যা আসলে কমবেশি সকলেরই আছে। টক দই এই সমস্যা খানিকটা হলেও কমাতে পারে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন টক দই? দই দিয়ে বিভিন্ন হেয়ার প্যাক বানানো যায়। তবে ডিম আর দইয়ের যুগলবন্দি চুলের জন্য সত্যিই ভাল। দুটো ডিমের কুসুম, এক চামচ দই একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় মেখে নিন। তার পর ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা দূরে চলে যাবে।