মেয়াদ ফুরোলেই ব্রাশ ফেলে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই প্রথম মনে পড়ে ব্রাশের কথা। ব্রাশে মাজন মাখিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আলসেমি ঝেড়ে ফেলার মজাই আলাদা। অথচ সেই এত প্রিয় ব্রাশটিই যখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে ওঠে, ছুড়ে ফেলা দেওয়া হয় আবর্জনার স্তূপে। চিকিৎসকদের মতে, একটি ব্রাশ মাস দেড়েকের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি ফেলে দেন ব্রাশ? দাঁত মাজা না গেলেও ঘরোয়া অনেক কাজেও ব্যবহার করা যায় পুরনো ব্রাশ।
১) কম্পিউটারের কিবোর্ডের খাঁজে খাঁজে ময়লা জমে যায়। সেগুলি পরিষ্কার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করলে কিন্তু কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
২) শুধু কম্পিউটার কেন, জুতো ঝকঝকে করে তুলতেও ব্যবহার করতে পারেন পুরনো ব্রাশ। শুকনো কাপড় ডিটারজেন্ট জলে ভিজিয়ে প্রথমে জুতো মুছে নিন ভাল করে। তার পর ব্রাশ দিয়ে ঘষলেই জমে থাকা ময়লা উঠে যাবে।
৩) সাদা ধবধবে বেসিনের গায়ে ময়লার পুরু দাগ পড়ে গেলে একেবারেই দেখতে ভাল লাগে না। বেসিন পরিষ্কার করতেও কিন্তু ব্রাশ বেশ কার্যকর। বেসিন থেকে ময়লা তোলা সহজ নয়। তবে ব্রাশ দিয়ে জোরে জোরে ঘষলে ময়লা উঠে যেতে বাধ্য।
৪) শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠোঁটের যত্ন নিতেও ব্রাশ কার্যকর। ঠোঁটের উপর গোলাপ জল হালকা করে লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষুন। এতে ঠোঁটের মৃতকোষ ঝরে গিয়ে মসৃণ এবং কোমল হবে।
৫) চিরুনি পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করতে পারেন ব্রাশ। ব্রাশে সাবান লাগিয়ে চিরুনিতে ঘষলেই সহজে পরিষ্কার হবে।