ছবি: সংগৃহীত।
গরমে ত্বকের বারোটা বেজে গিয়েছে। সারা ক্ষণ ঘাম হচ্ছে। নাকের দু’পাশে তেলের বন্যা হইছে। তার উপর রাস্তার ধুলো, ময়লা জমে একেবারে শোচনীয় অবস্থা। দিনে দু’বার নিয়ম করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরেও খুব যে উন্নতি হচ্ছে, তা নয়। ত্বকের যত্নে অনেকে নানা ধরনের মাস্ক ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে ক্লে মাস্ক বেশ কাজের। রোদে পোড়া দাগছোপ দূর করা, ব্রণ কিংবা ওপেন পোরসের সমস্যা— সবেতেই কাজে দেয় ক্লে মাস্ক। বাজারে কিন্তু বিভিন্ন রঙের ক্লে মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী মুখে মাখতে হয় সেই মাস্ক। তার আগে জেনে নিন, ত্বকের কী ধরনের সমস্যায় কেমন ক্লে মাস্ক মাস্ক মাখতে হয়।
ত্বকের কোন সমস্যায় কী ধরনের ক্লে মাস্ক মাখতে হয়?
কালো রঙের ক্লে মাস্ক:
ত্বকের গভীর স্তর থেকে ধুলো, ময়লা টেনে পরিষ্কার করে এই মাস্ক। যাঁদের ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুরি বা ব্ল্যাকহেডস হয়, তাঁরা এই ক্লে ব্যবহার করতে পারেন। চারকোল ক্লে মাস্ক এখন খুব জনপ্রিয়। অনলাইনে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল পাউডার কিনে বাড়িতেই কালো ক্লে মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।
সাদা রঙের ক্লে মাস্ক:
‘ডিটক্স’ করার জন্য সাদা ক্লে মাস্ক সবচেয়ে ভাল। দোকান থেকে বা অনলাইনে অর্ডার করুন বেটোনাইট পাউডার। সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল আর কিছু বাড়তি ভিটামিন যোগ করতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। এ ভাবেই বাড়িতে সাদা ক্লে মাস্ক বানিয়ে ফেলতে পারেন।
বাদামি রঙের ক্লে মাস্ক:
মুলতানি মাটি, চন্দন আর গোলাপ জল দিয়ে ক্লে মাস্ক বানিয়ে বাঙালিরা অনেক কাল ধরেই রূপচর্চা করে আসছেন। তাই এই ধরনের মাস্কের উপকারিতা আলাদা করে বোঝাতে হবে না। কোনও অনুষ্ঠানের আগের রাতে এই মাস্ক লাগিয়ে নিন। পরের দিন জেল্লা ফুটে উঠবে।
সবুজ রঙের ক্লে মাস্ক:
যাঁদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক বা ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ক্লে মাস্ক। ত্বকের উপর উন্মুক্ত রন্ধ্র থেকে তেল, ময়লা টেনে বার করতে সাহায্য করে এটি।
লাল রঙের ক্লে মাস্ক:
পিগমেন্টেশনের সমস্যায় লাল বা গোলাপি ক্লে মাস্ক কার্যকর। লাল চন্দন বা মুলতানি মাটির সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে লাল ক্লে মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।