কাচার ভুলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বক্ষ আবরণী। ছবি: সংগৃহীত।
টি-শার্ট, ট্রাউজ়ার্সের সঙ্গে ছুড়ে ওয়াশিং মেশিনে ফেলে দেন বেশ দাম দিয়ে কেনা বক্ষ আবরণীটি। পরিমাণ মতো সাবান আর জল দিয়ে সুইচ অন করে দেন। ব্যস, কাজ থেকে ফিরে নিশ্চিন্তে জিরিয়ে নেন মিনিট দশেক। অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে কেচে, ধুয়ে, আধ-শুকনো হয়ে বেরিয়ে আসে অন্তর্বাসটিও। তার পর রোদে মেলে দিলেই কাজ শেষ!
তবে অভিজ্ঞেরা বলছেন, ভুলটা হচ্ছে এখানেই। সাধারণ পোশাকের সঙ্গে বক্ষ আবরণী কাচলে তা খুব বেশি দিন ভাল থাকতে পারে না। সদ্য কেনা অন্তর্বাস দু’দিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দাম দিয়ে কেনা পোশাকটির রঙের জেল্লা উধাও হতে পারে সহজেই। আসলে বক্ষ আবরণীর ফ্যাব্রিক ততটা শক্তপোক্ত নয়। স্পর্শকাতর অঙ্গের জন্য অন্তর্বাসটিকেও সেই ভাবে তৈরি করা হয়। তাই তুলনায় মোটা জিন্স বা শার্ট কাচতে যে ধরনের সাবান বা শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, তা অন্তর্বাসের উপর গিয়ে পড়লে, সেই ধকল তো সেটি নিতে পারবে না। তা হলে কী ভাবে কাচবেন?
১) প্রথমে গামলা বা বালতিতে ঈষদুষ্ণ জল নিন। তার মধ্যে মিশিয়ে নিন কাপড় কাচার তরল সাবান। হাতের কাছে তরল সাবান না থাকলে বডিওয়াশ দিয়েও কাজ চালাতে পারেন।
২) অন্তর্বাসে কোনও রকম দাগছোপ থাকলে, জলে ভেজানোর আগে শুধুমাত্র ওই অংশটিতে সাবান মাখিয়ে রাখুন। অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা ওই ভাবে রেখে দিন। তবে সাধারণ পোশাকের মতো ঘষাঘষি করা যাবে না।
৩) এ বার সাবানের মিশ্রণে বক্ষ আবরণী ভিজিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। গায়ের জোরে নয়, বরং হালকা হাতে ঘষে নেওয়া যেতে পারে।
৪) মিনিট দশেক পর জল থেকে তুলে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলতে হবে অন্তর্বাস। যত ক্ষণ পর্যন্ত অন্তর্বাসের ধোয়া জলে ফেনা দেখা যাচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ধুয়ে যেতে হবে। তবে মাটিতে আছাড় দেওয়া বা সজোরে রগড়ানো যাবে না।
৫) ভেজা কাপড় নিংড়ানোর মতো গায়ের জোরে বক্ষ আবরণী জলশূন্য করা যাবে না। প্রথমে এমন জায়গায় পোশাকটি ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে বেশ খানিকটা পরিমাণ জল ঝরে যায়। অন্তর্বাস থেকে জল চুঁইয়ে পড়া বন্ধ হলে খোলা হাওয়ায় তা মেলে দিতে হবে। সরাসরি রোদ আসে, এমন জায়গায় পোশাকটি রাখা যাবে না।