দাঁত মাজার মাজন থেকেও মুখগহ্বরের ক্ষতি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁতের হলেদেটে ছোপ তোলার জন্য আলাদা মাজন। আবার মাড়ির সমস্যা কিংবা দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার জন্যও অন্য ধরনের মাজন রয়েছে। কিন্তু যে ধরনের মাজন দিয়েই দাঁত মাজুন না কেন, ফেনা হতে হবে। কাপড় কাচা কিংবা গায়ে মাখার সাবানে যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেই এক জিনিস দাঁত মাজার মাজনেও থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ছাড়াও মাজনে এমন আরও কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি মুখগহ্বরে সুরক্ষা বলয় তৈরি করার পাশাপাশি শরীরের অনেক ক্ষয়ক্ষতিও করে।
মাজনে এমন কী কী উপাদান থাকে, যেগুলি শরীরের ক্ষতি করে?
১) টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড:
মাজনে এই রাসায়নিকটি দেওয়া হয় দাঁতের হলদেটে ছোপ তোলার জন্য। চিকিৎসকেরা বলছেন, টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইডের সূক্ষ্ম কণা মাড়ি দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। যে কারণে কোষের ক্ষয়ক্ষতি, প্রদাহজনিত সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ এই রাসায়নিকটিকে ‘সম্ভাব্য ক্যানসার সৃষ্টিকারী’ বলেও চিহ্নিত করেছে।
২) সোডিয়াম লরেল সালফেট (এসএলএস):
দাঁত মাজবেন, অথচ মুখের ভিতর ফেনা হবে না? কাপড় কাচা কিংবা গায়ে মাখার সাবানেও তো ফেনা হয়। তা হলে সাবানে যে উপাদান থাকে, মাজনেও কি তা-ই থাকে? বেশির ভাগ মাজনেই ফেনা হওয়ার জন্য দেওয়া হয় সোডিয়াম লরেল সালফেট। দুর্ভাগ্যবশত, সাবানে ফেনা হওয়ার নেপথ্যেও সোডিয়াম লরেল সালফেটের ভূমিকা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রকাশিত ‘পাবমেড’ জার্নালে বলা হয়েছে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিভ কিংবা মুখগহ্বরে ঘা হওয়ার নেপথ্যে এই রাসায়নিকটির ভূমিকা রয়েছে।
৩) ট্রাইক্লোসেন:
মাজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ট্রাইক্লোসেন। মুখের ভিতর ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে পারে এই রাসায়নিকটি। পাশাপাশি, ভাল ব্যাক্টেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলতে পারে এটি। এ ছাড়াও চিকিৎসকেরা বলছেন, ট্রাইক্লোসেন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে ওস্তাদ। বিশেষ করে যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।