কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজ। গত শনিবার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলিপাড়ার এই চর্চিত যুগল। প্রেম দিবসে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন। এ বার গাঁটছড়া বাঁধলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। দু’জনের বিয়ে নিয়ে সমাজমাধ্যমে যতটা হইচই, ততটাই চর্চা চলছে তাঁদের সাজগোজ নিয়েও। বিয়ের দিন খাঁটি বাঙালি পোশাকেই দেখা গিয়েছিল দুজনকে। লাল বেনারসি পরেছিলেন শ্রীময়ী। সোনার গয়না আর ফুলের সাজে শ্রীময়ী হয়ে উঠেছিলেন একেবারে খাঁটি বাঙালি কনে। অন্য দিকে কাঞ্চনের পরনে ছিল ধুতি-পাঞ্জাবি। শ্রীময়ীর বিয়ের বেনারসিতে ছিল বিশেষ চমক। বিয়ের আগের দিন আনন্দবাজার অনলাইনকে তা খোলসা করেছিলেন শ্রীময়ী। বিয়ের বেনারসির নকশা নিজেই করেছেন তিনি। সোমবার ছিল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ঘরোয়া বৌভাতের অনুষ্ঠান। ভাত-কাপড়, ফুলশয্যার সমস্ত নিয়মকানুন পালন করেছেন। ঘরোয়া বৌভাতে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর পোশাকে দেখা গিয়েছিল রংমিলান্তি। নবদম্পতি লাল পরেছিলেন। সেটা কি পরিকল্পনামাফিক ছিল? শ্রীময়ী বলেন, ‘‘একেবারেই না। হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছে। কাঞ্চনের এক বন্ধু ওকে লাল পাঞ্জাবিটা দিয়েছিল। তাই কাঞ্চন পরেছিল। আর বিয়ের পর তো লাল ছাড়া অন্য কিছু পরতে পারব না। সেই জন্য পরতে হয়েছে। তা ছাড়া কোনও অনুষ্ঠানে কিন্তু আমরা রং মিলিয়ে পোশাক পরিনি।’’
কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর ঘরোয়া বৌভাত হলেও বুধবার পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েট হলে হবে রিসেপশন। তা নিয়েই চলছে প্রস্তুতি। বিয়ের দিনের মতো কি রিসেপশনেও বর-বৌয়ের পোশাকে থাকছে কোনও চমক? আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীময়ী বলেন, ‘‘ চমক তো থাকছেই। বিয়েতে শুধু আমি আমার বেনারসিটা ডিজাইন করেছিলাম। কিন্তু বৌভাতে আমি কাঞ্চনের পোশাকটাও পরিকল্পনা করে বানিয়েছি।’’ বিয়ের দিনের মতো সাবেকি সাজ, না কি অন্য কিছু পরছেন নবদম্পতি? শ্রীময়ীর উত্তর, ‘‘না না, সেটা এখন বলব না। ছবি পোস্ট করার পরেই সবাই জানতে পারবে। তবে এটুকু বলছি সোনার গয়না পরছি না। বিয়ের দিন থেকে সমস্ত অনুষ্ঠানেই সোনা পরতে হচ্ছে। নতুন বৌ বলে বাড়িতেও গয়না পরে থাকতে হচ্ছে। তাই আর সোনা পরব না।’’