রনির হাতে আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। — নিজস্ব চিত্র।
ছোটবেলা থেকে বাড়িতে যে সব রান্না খেয়েছেন, তা-ই এখন রেস্তরাঁয় বসিয়ে খাওয়ান আমেরিকাবাসীকে। তিনি রনি মজুমদার। ‘মসালাওয়ালা অ্যান্ড সন্স’-এ যেমন কলকাতার সব জনপ্রিয় খাবার খাওয়ানো হয় নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের। ‘স্যামা’-এ দক্ষিণী খাবার। আছে ‘আড্ডা ইন্ডিয়ান কিচেন’, ‘রাউডি রুস্টার’, ‘ধমাকা’-র মতো আরও নানা মেজাজের ঠিকানা। ৩৯ বছরের রনি এখনও দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান সাবেক স্বাদের উৎস সন্ধানে। সেই রনি আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট অনুষ্ঠানে এসে জানালেন আমেরিকায় সর্ষে তেলে রান্নাই নাকি নিষিদ্ধ!
রনির হাতে আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। রনি জানান, ২৩ বছর ধরে তিনি নিউ ইয়র্কে আছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে এমন পুরস্কার পেয়ে তিনি আপ্লুত। সেই রনিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দক্ষিণী পদ রান্নার সময় তিনি কি নারকেল তেল এবং বাঙালি পদ রান্নার সময় সর্ষে তেল ব্যবহার করেন? শুনেই হেসে ফেলেন রনি। বলেন, ‘‘ইন্টারেস্টিং কোয়েশ্চেন।’’ তার পরই রনি জানালেন আমেরিকায় সর্ষে তেল কেবল ‘এক্সটার্নাল ইউজ়’ (বাহ্যিক ব্যবহার) হয়। রান্না করা যায় না। রান্নায় অন্যান্য তেল ঠিক আছে কিন্তু বাঙালি রসনাতৃপ্তিতে যে তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়, তা সেখানে নৈব নৈব চ।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা যে অযৌক্তিক, তা প্রমাণ করতেও বদ্ধপরিকর রনি। সে দেশের এক সামনের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানালেন তিনি।