প্রতীকী ছবি।
সকালে পেট পরিষ্কার হওয়ার জন্য অনেক ক্ষণ বাথরুমে বসে থাকতে হয়? কোষ্ঠকাঠিন্যের এই সমস্যা কিন্তু এখন প্রায় প্রতি ঘরেই। এক জায়গায় বসে কাজ করা বা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া না করা— এই থেকেই সমস্যাটার মূল সূত্রপাত। তবে পাতে ঠিক মতো ফাইবার না থাকলে বা হঠাৎ করে ডায়েটে বদল এলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অনেক সময় বিশেষ কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। ঠিকঠাক পেট পরিষ্কার না হলে বদহজম, পেটফাঁপা ইত্যাদির সমস্যা লেগেই থাকে। তবে আয়ুর্বেদিক কয়েকটি উপায় মেনে চললে অচিরেই এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মিলবে আরাম।
প্রতীকী ছবি।
জল
আপনি কি খুব কম জল খান? কিংবা অতিরিক্ত ঘামের পর শরীর থেকে জল বেরিয়ে গিয়েছে? এই জলশূন্যতা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই সারা দিনে অন্তত ৩ লিটার জল খান।
ডালিয়া
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খান ডালিয়া। এতে রয়েছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন।
যষ্টিমধু
আয়ুর্বেদ মতে কোষ্ঠাকাঠিন্য কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী যষ্টিমধু। এটি শরীরের হজমশক্তিকেও বাড়ায়। এক কাপ জলে ১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো ও সামান্য গুড় মিশিয়ে খান, উপকার মিলবেই।
ডুমুর
ডুমুর খেলেও কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য। তবে ডুমুরকে বেশ খানিক ক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে গরম জলে। এতে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় খুব সহজেই পেট পরিষ্কার হয়।
ঘি দেওয়া দুধ
ঘি এবং দুধ তো এত দিন আলাদা খেয়েছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর জন্য একসঙ্গে খেয়ে দেখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ গরম দুধের সঙ্গে ২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে খান।