প্রতীকী ছবি।
পুজো একেবারে দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। ত্বক ও চুলের যত্ন তো নিচ্ছেনই। কিন্তু হাতের যত্নের কথাও তো ভাবতে হবে! বাড়ির কাজ করতে করতে হাতের তালু বেশ খসখসে হয়ে যায়। কাজেই হাতের পাতা তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়। যতই বাইরে থেকে নেলপালিশ লাগিয়ে বা আংটি পরে হাত সুন্দর দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন, মূল জায়গায় গলদ থাকলে কিন্তু মুশকিল। খসখসে হাতের ছোঁয়া কিন্তু আপনার সঙ্গীর বিরক্তির কারণও হতে পারে! তাই পুজোর আগে কয়েকটি উপায়েই হাতের তালু করে তুলুন মসৃণ! আপনার বাড়িতে থাকা উপাদানগুলিই হতে পারে আপনার সহায়।
প্রতীকী ছবি।
পাতিলেবু আর মধু
হেঁশেলে পাতিলেবু তো মিলবেই। হাতের খসখসে ভাব দূর করার পাশাপাশি এটি হাতকে উজ্জ্বল করে তোলে। আর রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার তো কারও অজানা নয়! বাড়িতেই হাতের যত্ন নিতে বানিয়ে ফেলুন পাতিলেবু-মধুর রূপটান। একটি বাটিতে ৩ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস, ২ টেবিল চামচ মধু ও ১ চা চামচ বেকিং সোডার মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার এটি হাতের তালুতে মেখে ফেলুন। মিনিটকুড়ি পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। রোজ করলে অচিরেই হাতের তালু হয়ে উঠবে মসৃণ।
দই আর বেসন
হাতের খসখসে ভাব চটজলদি দূর করতে পারে দই আর বেসনের এই যুগলবন্দি। হাতে দই মাখলে হাত মোলায়েম হয়। অন্য দিকে বেসনের ব্যবহার হাতের ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ বেসন ও ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর হাতের তালুতে এই মিশ্রণ ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১৫ পর শুকিয়ে গেলে হাল্কা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। হাত নরম হবেই!
টমেটো ও লেবু
হেঁশেলের টমেটোও কিন্তু হাতের খসখসে ভাব দূর করতে পারে! তবে তার সঙ্গে জুটি বাঁধতে হবে লেবুকে। একটি পাত্রে টমেটোর রস বার করে তার সঙ্গে সামান্য পাতিলেবুর রস ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি হাতের তালুতে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে হাত ধুয়ে নিন।