কেন নারীর বেশ পুরুষদের পরনে? ছবি: টুইটার
ভারতে সারা বছর ধরেই কোনও না কোনও উৎসব চলতে থাকে। এক এক উৎসবের এক এক রকম নিয়মবিধি। উৎসব মানেই সমাজের সব স্তরের মানুষের সমাগম। কেরলের কোত্তানকুলাঙ্গার শ্রীদেবী মন্দিরে প্রতি বছর পালন করা হয় চামায়াভিল্লাক্কু উৎসব। এই বিচিত্র উৎসবে অংশ নেন কেবল পুরুষরা। এই উৎসবে যোগ দিতে পুরুষরা দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে ফেলেন, ভুরু তোলেন এমনকি, মেয়েদের মতো চড়া মেকআপও করেন। কারও পরনে শাড়ি তো কারও পরনে ড্রেস, দেখে বোঝার উপায়ে থাকে না যে, তাঁরা আসলে পুরুষ।
সম্প্রতি ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা অনন্ত রূপনাগুড়ি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে চামায়াভিল্লাক্কু উৎসবের ঝলক দেখিয়েছেন। সেই পোস্টে অনন্ত এক পুরুষের ছবি শেয়ার করেছেন যাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি মহিলা। অনন্ত পোস্টে জানিয়েছেন, ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি মহিলা সেজে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির মেরুন রঙের শাড়ি, হাতে পুজোর থালা। ন্যুড মেকআপ, ছোট্ট লাল টিপ, সুন্দর করে আঁকা ভুরু, গলায় সরু চেন আর কানে ঝুমকো। বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই যে তিনি পুরুষ।
চামায়াবিলাক্কু উৎসবে ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে বিলাক্কু নামক প্রদীপ জ্বালান এবং দেবী ভগবতীর কাছে প্রার্থনা করেন। বলা হয়, দেবী এক পুরুষের স্বপ্নে এসে মহিলাবেশে দেবীর সামনে প্রদীপ জ্বালানোর আদেশ দেন। তখন থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।