গবেষকদের মতে, প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো এই প্রাণীটির প্রোটিন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত।
লুপ্তপ্রায় প্রাণী ম্যামথের ‘ডিএনএ’ থেকে তৈরি কৃত্রিম মাংসের বৃহত্তম বল উন্মোচন করা হল লেদারল্যান্ডের সায়েন্স মিউজ়িয়ামে। কৃত্রিম মাংস উৎপাদনকারী একটি সংস্থা এই মাংসের বলটি তৈরি করেছে।
সংস্থার দাবি, একটা সময়ে পৃথিবীতে প্রাণীজ মাংস খাওয়ার আর অবকাশ থাকবে না। তখন এই কৃত্রিম মাংসের উপরেই ভরসা রাখতে হবে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা টিম নকস্মিথ বলেন, “আমরা এমন একটি জিনিস আবিষ্কার করতে চাইছিলাম, যা এখনও পর্যন্ত কেউ খাননি।” তিনি জানান, এই গবেষণায় ‘ম্যামথ’ বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ, লোমশ দাঁতাল দেখতে অনেকটা হাতির মতো প্রাগৈতিহাসিক যুগের এই আফ্রিকান প্রাণীটি একেবারেই অবলুপ্ত।
ভেড়ার দেহের কোষ সংগ্রহ করে, তা ম্যামথের ‘মায়োগ্লোবিন’ জিনের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দানবাকার এই মাংসের বল তৈরি করা হয়েছে। কৃত্রিম মাংসে আসল মাংসের মতো স্বাদ, রং এবং গন্ধ আনতে সাহায্য করে এই মায়োগ্লোবিন।
গবেষকদের মতে, প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো এই প্রাণীটির প্রোটিন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই ধরনের প্রোটিনের গঠন সহজে দেখা যায় না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। যে হেতু ইউরোপীয় দেশগুলিতে মাংস খাওয়ার চল অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত বেশি, তাই এই খাবারের বিকল্প ভেবে রাখা প্রয়োজন।