কলমজিৎ কৌর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভুগেছেন অনেক দিন। জীবনে দ্বিতীয় বার সুযোগ পেয়েছেন। তবে কেন নতুন কিছু করে দেখবেন না তিনি?
সেই ভাবনা থেকেই পঞ্চাশ পার করা বধূ ঘরে ঘি বানিয়ে বিক্রি করা শুরু করেন। ভাবেন, শুধু বাড়ির কাজ নয়, আরও কিছু করা জরুরি। নিজের গুণ নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।
ভাল ঘি বানাতে জানতেন। কিন্তু শুধু পরিবারের সকলের জন্যই বানাতেন। এ বার সেই ঘি-ই আরও বেশি পরিমাণে বানানো শুরু করেন। শুধু পরিবার-পরিজন নয়, অন্যরাও চেখে দেখুন তাঁর হাতে তৈরি ঘি। এমনই ইচ্ছা হয় পঞ্জাবি এক বধূ কমলজিৎ কৌরের।
প্রতীকী ছবি।
পঞ্জাবের গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ফলে দুগ্ধজাত নানা জিনিস বানানো ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন কমলজিৎ। শিখেছেন পরিবারের সকলের কাছেই। পঞ্জাবী ঘরের সেই ঘি বাইরের সকলের কাছে পৌঁছে দিলে কেমন হয়, এ কথাই মনে হয় বধূর।
লুধিয়ানার একটি গ্রামে জন্মালেও বিয়ের পর মুম্বই চলে যান স্বামীর সঙ্গে। তবে মুম্বইয়ের সংসারেও নিজে হাতেই ঘি তৈরি করতেন কমলজিৎ। পরিবারের সদস্যরা উৎসাহ জোগান। শুরু করেন ‘কিম্মুস কিচেন’। বাড়িতে বড় পাত্রে ঘি তৈরি করে, বোতলবন্দি করেন ঘরেই। তার পর তা বিক্রি করতে শুরু করেন।
পুরনো বিলোনা পদ্ধতিতে তৈরি করেন ঘি। কোনও ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয় না তাতে। প্রথম দিকে অল্প অল্প করেই বিক্রি হত তাঁর ঘি। এখন বাড়তে শুরু করেছে জনপ্রিয়তা। প্রতি মাসে প্রায় ৪৫০০ বোতল ঘি পৃথিবীর নানা প্রান্তে পাঠানো হয়। দেশের ক্রেতারা তো রয়েছেনই। সব মিলিয়ে কোনও কোনও মাসে ২০ লক্ষ টাকাও আয় করেন কমলজিৎ।