Assam

Assam Police: সাত মাসের সন্তান কোলে নিয়ে কর্মস্থলে, কনস্টেবল সচিতারানিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই

সচিতারানি বলেন, “সন্তানের দেখাশোনা করার মতো লোক নেই বাড়িতে। বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে ওকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু উপায় নেই।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ১৩:৩৮
Share:

সাত মাসের সন্তানকে নিয়ে কর্মস্থলে অসম পুলিশের কনস্টেবল সচিতারানি রায়।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সাত মাসের সন্তানকে কোলে নিয়েই কর্মস্থলে হাজির হলেন সচিতারানি রায়। তিনি অসম পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।

Advertisement

খাকি উর্দি পরা, কাঁধে ঝোলানো বেবিসিটার। আর সেখান থেকে মুখ বাড়িয়ে রয়েছে এক শিশু। সচিতারানির এই ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকে। যিনি ঘর সামলান, তিনি আবার নিজের কাজও সামলান। আর তার ফাঁকেই সন্তানের যত্নে যাতে কোনও রকম খামতি না পড়ে, সে দিকটাও খেয়াল রাখেন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটাই নিত্যদিনের রুটিন সচিতারানির। কাছাড় জেলার শিলচর পিআই আদালতে তাঁর পোস্টিং। রোজ সকাল সাড়ে ১০টায় সাত মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে হাজির হন কর্মস্থলে। সচিতার অভিযোগ, সন্তানের দেখাশোনার জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ছুটি মঞ্জুর হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সন্তানকে কোলে নিয়ে কর্মস্থলে হাজিরা দিতে হয় সচিতারানিকে।

Advertisement

তিনি বলেন, “সন্তানের দেখাশোনা করার মতো লোক নেই বাড়িতে। তাই বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে ওকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এতে অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এ ছাড়া তো আর কোনও উপায় আমার হাতে নেই!” সচিতার স্বামী সিআরপিএফ-এ কর্মরত। অসমের বাইরে থাকেন।

কর্মস্থলে সন্তানকে দেখাশোনার ভার তাঁর বাকি সহকর্মীরাও নেন বলে জানিয়েছেন সচিতারানি। তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য সহকর্মীদের কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি। শিলচরের মালুগ্রামের বাসিন্দা সচিতা বলেন, “যে হেতু সন্তান আমার সঙ্গে থাকে, তাই কর্মস্থলে একটু আগেই হাজির হই। ছুটির জন্য আবেদন করেছি। দেখা যাক মঞ্জুর হয় কি না। যত দিন না ছুটি মঞ্জুর হচ্ছে, আমি আমার কর্তব্য পালন করে যাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement