পর্দার ঝুলন গোস্বামী হয়ে উঠতে কম পরিশ্রম করছেন না বিরাট-পত্নী। ছবি: সংগৃহীত
১৭ অক্টোবর কলকাতায় পা এসেছেন পর্দার ‘ঝুলন’। উদ্দেশ্য ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর শুটিং। ইডেন গার্ডেন্স থেকে হাওড়ার আন্দুল রাজবাড়ি— ছুটে বেড়াচ্ছেন অনুষ্কা শর্মা। পর্দার ঝুলন গোস্বামী হয়ে উঠতে কম পরিশ্রম করছেন না বিরাট-পত্নী। অনুষ্কা অবশ্য বরাবরই পরিশ্রমী। স্ত্রী, মা, অভিনেত্রী, প্রযোজক— এতগুলি দায়িত্ব দক্ষ হাতে সামলানো সহজ নয়। অনুষ্কা অবলীলায় তা করেন।
কলকাতা বরাবরই তাঁর অন্যতম প্রিয় জায়গাগুলির একটি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তা বার বারই বলেছেন অভিনেত্রী। এর আগে বিভিন্ন ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছেন অনুষ্কা। তবে এ বার ছবির প্রচার নয়। তাই এ বারের সফর বিশেষ প্রিয় নায়িকার কাছে। সোমবার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাট হাতে মাতিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিরাট কোহলি যে দিন ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেন, সেই সন্ধ্যাতেই ইডেনের সবুজ ঘাসে ক্রিকেট ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকালেন তাঁর ঘরনি।
বিটনুন মাখানো কাটা পেয়ারা। ছবি: অনুষ্কা শর্মার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি।
সেই অনুষ্কা নাকি কলকাতায় এসে সকালের জলখাবারে খেলেন ঝালমুড়ি। ছবি: অনুষ্কা শর্মার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই কলকাতার প্রতি অগাধ টান। ইডেন কোহলিরও অন্যতম পছন্দের মাঠ। গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়ালেও কলকাতা যেন অনেক আপন। যে দিন দমদম বিমানবন্দরে পা রাখলেন অনুষ্কা, মাস্কের আড়াল থেকেই একটি তৃপ্তিমাখা হাসি ছিল অভিনেত্রী ঠোঁটে। মেয়ে ভামিকাকে নিয়েই কলকাতায় এসেছেন তিনি। ভামিকার এই প্রথম কলকাতা সফর। তবে কলকাতায় এসে যে শুধু শুটিং করছেন অনুষ্কা, তেমনটি ভাবলে কিন্তু ভুল করা হবে। পছন্দের শহরে এসে সেখানকার খাবার চেখে দেখবেন না, তা কী করে হয়! অনুষ্কা অত্যন্ত শরীরসচেতন। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সবটাই অত্যন্ত নিয়ম মেনে করেন তিনি। নিজেকে ঝুলন হিসাবে গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ওজন কমিয়েছেন। খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনেছেন। সেই অনুষ্কা নাকি কলকাতায় এসে সকালের জলখাবারে খেলেন ঝালমুড়ি। কলকাতায় আসা ইস্তক অনুষ্কার প্রতিটি কার্যকলাপ ভাইরাল হয়ে চলেছে। আন্দুল রাজবাড়িতে শুটিং করছেন এখন। সেখানেই পেঁয়াজ, লঙ্কা, সর্ষের তেল, মুগডাল ভাজা, চানাচুর, ছোলা সেদ্ধ দিয়ে ঝালমুড়ির স্বাদ নিচ্ছেন অনুষ্কা। সঙ্গে রয়েছে বিটনুন মাখানো কাটা পেয়ারা। শুক্রবার সকালে অনুষ্কা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঝালমুড়ি আর পেয়ারার ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘সকালের জলখাবারে ঝালমুড়ি আর পেয়ারা, আমার মতো প্রাতরাশ করতে কি কেউ ইচ্ছুক?’’