বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আমাজ়নে ভারতীয় ইউনিটে কর্মরত কয়েকশো কর্মীর চাকরি যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
টুইটার, মেটার পর এ বার গণছাঁটাইয়ের পথে নেমেছে আমাজ়ন। গত কয়েক মাস ধরে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা, আর এর জেড়েই কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিতে চলেছে সংস্থা। ইতিমধ্যেই সংস্থার কর্মীরা সমাজমাধ্যমের পাতায় অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। শুরু হয়েছে কাজ খোঁজার চেষ্টাও।
সূত্রের খবর, টুইটার এবং মেটার তুলনায় আমাজ়ন সম্ভবত ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করবে। সংস্থার পক্ষে যদিও এখনও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ছাঁটাই। টুইটার এবং মেটা সংস্থা কিন্তু বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কর্মচারীকে বরখাস্ত করার আগেভাগেই ছাঁটাইয়ের কারণ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। আমেরিকা এবং কানাডায় আমাজ়নে কর্মরত ভারতীয়তের কপালে ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁদের অনেকেই এইচ১বি ভিসাধারী। ভিন্ন দেশ থেকে এসে আমেরিকায় থাকতে হলে এই ভিসা থাকতেই হবে। কোনও ভারতীয়র যদি আমেরিকায় চাকরি চলে যায়, তা হলে ৬০ দিনের মধ্যেই আবার চাকরি না পেলে তাঁর এইচ১বি ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আমাজ়নে ভারতীয় ইউনিটে কর্মরত কয়েকশো কর্মীর চাকরি যেতে পারে।
এক ছাঁটাই কর্মীর বার্তা। ছবি: লিঙ্কডইন
ছাঁটাই কর্মীদের আকুতি। ছবি: লিঙ্কডইন
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ১০ হাজারের বেশি কর্মীকে আমাজ়ন থেকে বিদায় নিতে হতে পারে, তেমনটাই দাবি সূত্রের। শুধু কর্মী ছাঁটাই নয়, সেই সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাজ়ন খরচেও কাটছাঁট করতে চলেছে বলে খবর।
বিশ্বজুড়ে আমাজ়নে প্রায় ১৬ লক্ষ কর্মী আছেন। আমাজ়ন থেকে যদি সত্যিই ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়, তবে সংস্থার ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই।