ছবি: সংগৃহীত।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শারীরিক, মানসিক নানা ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। এই সময়ে ঘন ঘন মনখারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকেই এই সময়ে বাড়িতে বসে-শুয়ে না থেকে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তাতে শরীর এবং মন— দুই-ই ভাল থাকে। দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। স্বামী, ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনিও ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বকাপের সময়ে। কখনও কলকাতা, কখনও মুম্বই, কখনও চেন্নাই তো কখনও আবার দিল্লি। সর্বত্রই স্বামীর সঙ্গে উড়ে গিয়েছেন অনুষ্কাও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সকলেই কি অনুষ্কার মতো অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিমানে চাপতে পারেন? যদি পারেন, সে ক্ষেত্রে কী কী মাথায় রাখতে হবে?
১) চিকিৎসকের পরামর্শ
সাধারণত সন্তানধারণের একেবারে গোড়ার দিকে সম্পূর্ণ বিশ্রামেই থাকতে বলা হয়। তবু এক এক জনের শারীরিক অবস্থা এক এক রকম। তাই বিমানের টিকিট কাটার আগে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
২) কোন সময় আদর্শ
একান্ত যদি কোথাও যেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে কোন সময়টা নিরাপদ, তা-ও চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন। খুব দীর্ঘ যাত্রাপথ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৩) বিমান সংস্থার নিয়মকানুন
বিপদ এড়াতে গর্ভাবস্থায় যাত্রা করা নিয়ে বিভিন্ন বিমানসংস্থার বিভিন্ন রকম নিয়ম আছে। বিমানের টিকিট কাটার সেই সব বিষয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিন।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিমানে উঠতে পারেন কি? ছবি: সংগৃহীত।
৪) শরীর আর্দ্র রাখা
নির্দিষ্ট একটি উচ্চতায় ওঠার পর বাতাসের চাপ কমে যায়। বাতাস শুষ্ক হতে শুরু করে। তাই শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি।
৫) হালকা পোশাক
বিমানে যাত্রার সময়ে যতটা সম্ভব হালকা পোশাক পরতে চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষণ বসে থাকতে যাতে অসুবিধে না হয়, তেমন পোশাক পরাই ভাল। তবে হাতের কাছে একটি চাদর, শীতপোশাকও রাখতে হবে।