মাদক পরীক্ষার পর সাময়িক বরখাস্ত বিমানবন্দরের কর্মী। ছবি-প্রতীকী
মাদক নেওয়ার অভিযোগে দিল্লি বিমানবন্দরের এক এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারকে কাজ থেকে ‘সাসপেন্ড’ করল বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। ডিজিসিএ জানিয়েছে, ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার এবং বিমানসেবিকাদের মাদক পরীক্ষা করানোর পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর এমন ঘটনা এই প্রথম।
১৮ আগস্ট ওই ব্যক্তির মাদক পরীক্ষা করা হলে ফলাফল ইতিবাচক আসে। আর তার পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিজিসিএ।
ডিজিসিএ-র নিয়মবিধি অনুযায়ী, যদি একই কর্মীর মাদক পরীক্ষার ফলাফল দ্বিতীয় বার ইতিবাচক আসে, তা হলে তাঁর লাইসেন্স তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হবে। তৃতীয় বার নিয়ম লঙ্ঘন করলে নির্দিষ্ট কর্মীদের লাইসেন্স সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করা হবে।
মাদক সংক্রান্ত নতুন নিয়ম তৈরির সময় ডিজিসিএ জানিয়েছিল, বিশ্ব জুড়ে মাদকদ্রব্য পাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের সে দিকে ঝোঁক বেড়েছে। বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাদকের প্রভাবে আচরণগত পরিবর্তন আসে। সব মিলিয়ে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা বিগড়ে যায়। তা কোনও বিমান সংস্থার জন্য ভাল বিষয় নয়। তার চেয়েও চিন্তার হল, নিরাপত্তা। যাত্রী ও বিমানকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই তৈরি হয়েছে এই নিয়ম।