ছবি- সংগৃহীত
মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারণরোগ ক্যানসার কেড়ে নিল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার জীবন। টালিগঞ্জে ছোটপর্দায় ‘ঝুমুর’ মেগা ধারাবাহিক দিয়েই অভিনয় জগতে পা রাখেন ঐন্দ্রিলা। অভিনয়ের মাঝেই প্রথম বার ‘পি-নেট’ ক্যানসারকে পরাজিত করে, ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দ্বিতীয় বার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকে নানা রকম শারীরিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত যোদ্ধার মতো লড়াই করে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
তবে ঐন্দ্রিলা একা নন, তাঁর মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই সকল তুখোড় অভিনেত্রীর কথা, যাঁরা কম বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন।
মহুয়া রায়চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত
মহুয়া রায়চৌধুরী
টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পা রেখেছিলেন অভিনয় জগতে। জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিলেন দ্রুত। কিন্তু মাত্র ২৭ বছর বয়সে এক সন্তানকে রেখেই ইহজগতের মায়া কাটিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আজ কাল পরশুর গল্প’-এ মহুয়া মন কেড়েছিলেন সকলের।
পল্লবী দে। ছবি- সংগৃহীত
পল্লবী দে
টালিগঞ্জের ইন্ডাস্ট্রির উঠতি নায়িকা ছিলেন পল্লবী দে। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই অভিনয় জীবনের ইতি পড়ে যায়। ‘আমি সিরাজের বেগম’ মেগা ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পল্লবী। দেখা গিয়েছে আরও কিছু জনপ্রিয় চরিত্রে। ‘রেশম ঝাঁপি’, ‘কুঞ্জছায়া’-র পর ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতে করতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দিশা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি- সংগৃহীত
দিশা গঙ্গোপাধ্যায়
পার্শ্বচরিত্র হলেও ‘তুমি আসবে বলে’ ধারাবাহিকে দিশার অভিনয় মন কেড়ে নিয়েছিল দর্শকের। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিভে গিয়েছিল তাঁর জীবনপ্রদীপ। দশম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকে কাজের সুযোগ পান। এ ছাড়াও ‘কনকাঞ্জলি’, ‘মৌচাক’, ‘অদ্বিতীয়া’ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি- সংগৃহীত
প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘বালিকা বধূ’ হিন্দি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতেন প্রত্যুষা। টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন কম সময়ে। কিন্তু মাত্র ২৩ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় প্রত্যুষার।
জিয়া খান। ছবি- সংগৃহীত
জিয়া খান
মাত্র ২৫ বছরেই ফুরিয়ে গিয়েছিল অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, রঙিন এক অভিনেত্রীর জীবন। নিঃশব্দে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন জিয়া খান। আসল নাম নাফিসা রিজ়ভি খান। অভিনয় জগতে জিয়া খান নামেই বেশি পরিচিত। অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে তাঁর প্রথম ছবি ‘নিঃশব্দ’-এ অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শককুল।
দিব্যা ভারতী। ছবি- সংগৃহীত
দিব্যা ভারতী
১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল মৃত্যু হয় তাঁর। তখন মাত্র ১৯ বছর বয়স। মৃত্যুর কারণ আজও রহস্যে মোড়া। তেলুগু ছবি দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি দিব্যার। প্রথম হিন্দি ছবি ‘বিশ্বাত্মা’। ‘শোলা অউর শবনম’ এবং ‘দিওয়ানা’ ছবিতে অভিনয় কম সময়ে দিব্যাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল।
স্মিতা পাতিল। ছবি- সংগৃহীত
স্মিতা পাতিল
দূরদর্শনের পর্দায় সংবাদপাঠিকা থেকে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের হাত ধরে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ। শুধু মুম্বইতেই নয়, স্মিতা কাজ করেছেন বাংলার কালজয়ী দুই পরিচালক সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সঙ্গেও। ‘ভূমিকা’, ‘আজ কি আওয়াজ’, ‘মির্চ মশালা’, ‘চক্র’ তাঁর অভিনীত বিখ্যাত চলচ্চিত্র। খ্যাতির মধ্যগগনে যখন, তখনই বিয়ে করেন অভিনেতা রাজ বব্বরকে। সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মাত্র ৩১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় স্মিতার।