অনলাইন ফাঁদে পা দিতেই টাকা খোয়ালেন অধ্যাপক। ছবি: সংগৃহীত।
কলেজে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি, অন্য একটি কয়েক ঘণ্টার পার্ট টাইম চাকরির খোঁজও করছিলেন। কাজে যোগ দিয়ে ২১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ৪২ বছর বয়সি কলেজ শিক্ষক সচ্চিদানন্দ রামদাস সতপতি। পুণের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় একটি কলেজে পড়ান সচ্চিদানন্দ। বেশ কিছু দিন ধরেই অন্য একটি কাজ করার কথা ভাবছিলেন। কয়েক ঘণ্টার কাজ করে বিপুল রোজগারের সুযোগ আছে জানিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি বার্তা আসে তাঁর কাছে। তাতে তিনি রাজিও হয়ে যান। রেখা রঞ্জন নামে এক ব্যক্তি তাঁকে কাজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি সচ্চিদানন্দকে জানান, তাঁদের সঙ্গে অ্যামাজ়নের হয়ে কাজ করে। তাঁদের সংস্থার মাধ্যমেই নাকি সমস্ত অর্ডার নেওয়া হয়। তার পর সেটা অ্যামাজ়নের কাছে পাঠানো হয়। অর্ডার অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে। যে যতগুলি অর্ডার নিতে পারবে, সেই অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে।
১৫ দিন কাজ করার পর সচ্চিদানন্দকে বলা হয় যে, রোজগারের টাকা পেতে হলে আগে দু’লক্ষ টাকা জমা রাখতে হবে। সচ্চিদানন্দও সেই মতো টাকা জমা রাখেন। দু’দিনের মধ্যে কয়েক হাজার টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকে সচ্চিদানন্দের। আগের দু’লক্ষ টাকাও তিনি ফেরত পেয়ে যান। দ্বিতীয় মাসে চার লক্ষ টাকা জমা করেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে চার লক্ষ টাকার সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকাও পান। এ রকম ভাবে প্রতি মাসেই বেতন পাওয়ার আগে কয়েক লক্ষ টাকা জমা রাখতেন তিনি। কয়েক দিন আগে ২১ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। কিন্তু তার পর বেশ কয়েকটি দিন কেটে গিয়েছে। বেতন তো দূর, নিজের ২১ লক্ষ টাকাও ফেরত পাননি। ফোন করলেও ও দিক থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সচ্চিদানন্দ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার। তবে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছেন। আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে থানায়।